এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা বরগুনায় গার্লস স্কুল শীর্ষে, লাউপাড়ায় পাসের হার মাত্র ২২ শতাংশ

হোম পেজ » বরগুনা » এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা বরগুনায় গার্লস স্কুল শীর্ষে, লাউপাড়ায় পাসের হার মাত্র ২২ শতাংশ
বৃহস্পতিবার ● ১০ জুলাই ২০২৫


---

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বরগুরা

 

সারা দেশের মতো বরগুনা জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৫ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে বরগুনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় (গার্লস স্কুল)। অপরদিকে, সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে লাউপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যেখানে পাসের হার মাত্র ২২ শতাংশ, আর ফেল করেছে ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।

 

জেলা শহরের গার্লস স্কুলে মোট ১৯৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৮২ জন, ফেল ১৭ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৫ জন শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ এসেছে বরগুনা জিলা স্কুল থেকে। সেখানে পাস ১৩১, ফেল ১৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ শিক্ষার্থী।

 

তৃতীয় স্থানে রয়েছে তাসলিমা মেমোরিয়াল স্কুল। যেখানে ৬৮ জনের মধ্যে ৬৭ জন পাস করেছে এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ জন।

 

অন্যদিকে, জেলার একাধিক বিদ্যালয়ে পাশের তুলনায় ফেল বেশি ছিল। লাউপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭৭ জন, এর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৩৯ জন, ফেল করেছে ১৩৮ জন। যেখানে পাশের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ২২ শতাংশ। যা জেলার মধ্যে সর্বনিম্ন।

 

এছাড়া আরও কিছু প্রতিষ্ঠানেও পাশের তুলনায় ফেল বেশি দেখা গেছে। এরমধ্যে-

ইটবাড়িয়া কদমতলা: পাস ৪৪, ফেল ৮৬, তালতলী সরকারি স্কুল: পাস ৪২, ফেল ৮৩, ফুলঝুরি হাইস্কুল: পাস ৪৬, ফেল ৭৬, কাউনিয়া এমদাদিয়া: পাস ৫৭, ফেল ৭২, চান্দখালী ইসহাক: পাস ৩১, ফেল ৭১।

 

অন্যদিকে, কোনো জিপিএ-৫ না পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- আদর্শ গার্লস, বাশবুনিয়া, কেওড়াবুনিয়া, লাউপাড়া, আয়লা, বুড়ির চর, রোডপাড়া, বাবুগঞ্জ স্কুল, তেতুলবাড়িয়া প্রভৃতি।

 

সবচেয়ে ভালো ফলাফলের শীর্ষ তালিকা:

বরগুনা গার্লস স্কুল: ৫৫টি জিপিএ-৫, বরগুনা জিলা স্কুল: ৩০টি, তাসলিমা মেমোরিয়াল: ২৯টি, আমতলী এম ইউ: ২১টি, মাইঠা স্কুল: ২০টি, সোনাখালী গার্লস: ১৭টি, বেতাগী সরকারি স্কুল: ১৭টি,

 

সবচেয়ে খারাপ ফলাফলের তালিকা:

লাউপাড়া স্কুল: পাস ৩৯, ফেল ১৩৮ (পাস হার ২২%), ইটবাড়িয়া কদমতলা: ফেল ৮৬, তালতলী সরকারি: ফেল ৮৩, ফুলঝুরি হাইস্কুল: ফেল ৭৬, কাউনিয়া এমদাদিয়া: ফেল ৭২, চান্দখালী ইসহাক: ফেল ৭১।

 

 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, ফলাফলের ভিত্তিতে পিছিয়ে পড়া বিদ্যালয়গুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া যেসব স্কুলে ফেল সংখ্যা বেশি তাদেরকে বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৯:৪৪ ● ৯৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ