নিষেধাজ্ঞার নয়দিন জেলেরা পায়নি বিশেষ ভিজিএফএর চাল

প্রথম পাতা » লিড নিউজ » নিষেধাজ্ঞার নয়দিন জেলেরা পায়নি বিশেষ ভিজিএফএর চাল
বৃহস্পতিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৯


প্রতীকী ছবি

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার নয় দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার ঘোষিত খাদ্য সহায়তা মেলেনি জেলে পরিবারে। তাই তাঁদের পরিবারে বিরাজ করছে কষ্টকর পরিস্থিতি। দুরাবস্থায় পড়েছে কলাপাড়ার ৪০ টি জেলে গ্রামের দুই হাজার আট শ’ পরিবার। বেকার হয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠী এখন বিপাকে পড়েছেন। ১২ ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার সর্বত্র বিরাজ করছে একই দশা।  সরেজমিনে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
উপজেলার মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহীপুর, লালুয়া, কুয়াকাটা, ধুলাসার, বাবলাতলার ঢোস, চাপলী, খাজুরা, ফাতরা, আন্দারমানিক ও রাবনাবাঁধ মোহনা, লালুয়া, গঙ্গামতি, ধানখালীতে জেলে পরিবারের বেশি বাস। গত বছর এ সময় তাদের জন্য সরকারি সহায়তার চাল জুটলে ও এ বছর এখ নপর্যন্ত জোটেনি।
ধুলাসার ইউনিয়নের গঙ্গামতি গ্রামের আলী হোসেন খাঁ জানান, নিষেধাজ্ঞা চলায় বাড়িতে জাল সেলাই করছেন। আর কোনো আয় রোজগারও নেই । টানা ২২ দিনের অবরোধে এখন ঘরে চাল নেই। ধার-দেনায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। সরকারের বরাদ্দ থাকা চালের প্রয়োজন এ পরিবারে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন তাঁরা। একই দশায় অধিকাংশ জেলে পরিবারের।
উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ বছর নিষেধাজ্ঞাকালীন উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা ১৮ হাজার তিন শ’ পাঁচ জন নিবদ্ধিত জেলের মধ্যে ১১ হাজার ছয় শ’ ৩৫ জন জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসুচী আওতায় ২০ কেজি করে ২৩২ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু খাদ্য গুদামে চাল না আসার কারনে এখন পর্যন্ত চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া জেলেদের দাবি যাদের নিবন্ধন রয়েছে তাঁদের সবাইকে চাল দেয়া হোক।
মৎস্য বন্দর আলীপুর মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, নিষেধাজ্ঞা চলায় এখন হাজার হাজার জেলে বেকার। এ সময়ই সহায়তা দেয়া উচিত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা জানান, চাল না আসার কারনে জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসুচীর আওতায় ২০ কেজি করে চাল দেয়া সম্ভব হয়নি। কিছু দিনের মধ্যে চাল আসলেই জেলেদের সহায়তা করা হবে। খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা জানান, চাল সরবরাহকারী ঠিকাদারকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৩:০০ ● ৪১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ