
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বরগুনা
বরগুনা জেলা কারাগারে কর্মরত দুই কারারক্ষীর বিরুদ্ধে এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকারের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সাগরকন্যায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযুক্তরা হলেন- সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. রফিকুল ইসলাম এবং কারারক্ষী মো. হাফিজুর রহমান।
বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বরগুনা জেলা কারাগারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জেল সুপার) মো. খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, গত সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বরগুনা পৌর শহর ও আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে রফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত এয়ারগান ব্যবহার করে পাখি শিকার করেন অভিযুক্তরা।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বেলা ১১টার দিকে বরগুনা পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি সড়কে ডাহুক শিকারের দৃশ্য সময় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদক ও ভিডিও জার্নালিস্টের নজরে আসে। এ সময় প্রতিবাদ করা হলে তারা দ্রুত মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে ভিডিও এবং ছবিসহ বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে কারা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অনুমতি ছাড়াই পাখি শিকার এবং কারা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে কারা বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত দুই কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একুশে টেলিভিশনের বরগুনা প্রতিনিধি জয়দেব রায় বলেন, দুই কারারক্ষী যে অপরাধ করেছে, তার শাস্তি হওয়া উচিত। কর্তৃপক্ষ যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিবেশকর্মী মুশফিক আরিফ বলেন, এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা আগেই তাদের চাকরি থেকে বরখাস্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দুই কারারক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।