
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)
ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী-বরগুনা সদর) আসনে মোট ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ অলি উল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী মোঃ মহিবুল্লাহ।
খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গির হোসাইন, জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থী মোঃ জামাল হোসাইন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমানও মনোনয়ন দিয়েছেন।
জানা গেছে, ছয় প্রার্থীর মধ্যে জাহাঙ্গির হোসাইন, জামাল হোসাইন এবং মশিউর রহমান মূলত ‘নামজাহির’ করতেই প্রার্থী হয়েছেন বলে ভোটারদের মুখে মুখে শোনা যায়। তাদের রাজনৈতিক কর্মী বা সমর্থক নেই বলেও দাবি ওইসকল ভোটারদের।
বরগুনা-১ আসনে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন ভোটারের মধ্যে বিপুল সংখ্যাক সাধারণ ভোটারদের দাবি, এই তিন প্রার্থীকে ৯৯ শতাংশ ভোটার চেনেন না।
চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের ভোটার জিয়া উদ্দিন জুয়েল সাগরকন্যাকে বলেন, কোনদিনই দুই প্রার্থীর নাম শুনিনি। এরা শুধু নিজেদের নাম জাহির করতে প্রার্থী হয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নাই।
গাবতলী গ্রামের শহীদুল ইসলাম বলেন, কর্মীবিহীন একলা নেতার দলের প্রার্থী এরা।
দক্ষিণ তক্তবুনিয়া গ্রামের শিবলী শরীফ জানান, বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মোল্লা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমানকে চিনি। অন্য দুই প্রার্থী অলি উল্লাহ ও মহিবুল্লাহর নাম শুনেছি, কিন্তু দেখিনি। বাকিদের কোনো চিনাপাহিচান নেই।
জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থী মোঃ জামাল হোসাইন বলেন, আমি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয়। তাই সবাই আমাকে চিনেন না। তবে এলাকার মানুষ চেনে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলাম, কিন্তু প্রস্তাবকারী ও সমর্থক এলাকার ভোটার না হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। এবার নিজ এলাকা থেকে নির্বাচন করছি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরগুনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা বলেন, দুইজন প্রার্থী শুধু নামজাহিরের জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন। জনগন তাদের চিনেন না। এদের কোনো দলীয় কার্যালয়, সাইনবোর্ড, সাংগঠনিক কার্যক্রম বা কমিটি নেই। এরা শুধু নাম প্রকাশ করতে প্রার্থী হয়েছেন।