
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
কুয়াকাটায় মাত্র ১০ বছর বয়সে ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে হাফেজা হয়েছেন শিশু মোসাঃ মারজুকা। তার এই সাফল্যে শিক্ষক, পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ ও প্রশংসার জোয়ার বইছে।
মারজুকা কুয়াকাটার আলীপুর এলাকার আল হুদা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। নাজেরা শেষ করার পর মাত্র ১১ মাসে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ওই মাদ্রাসায় নিয়মিত শুনানি দিচ্ছেন।
মারজুকা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত একটি পরিবারের সন্তান। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। শিশুকাল থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন বলে জানান তার শিক্ষকরা। ভোরের নামাজ শেষে প্রতিদিন মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের তালিম দেওয়া হলেও মারজুকার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুখস্থ পড়া নির্ধারণ করা হতো। তার অদম্য মেধা ও অধ্যবসায়ের কারণে অল্প সময়েই তিনি কোরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হন।
এ বছর আল হুদা মহিলা মাদ্রাসা থেকে মোট ১০ জন হাফেজার বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন মারজুকা। বিদায় সংবর্ধনায় শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মারজুকার বাবা হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ছোটবেলা থেকেই মারজুকা অত্যন্ত মেধাবী। তিনি চান, ভবিষ্যতে তার মেয়ে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মাঝে দ্বীনি শিক্ষা ও কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিক।
শিশু হাফেজা মারজুকা জানায়, সে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় আলেমা হতে চায়।
আল হুদা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক বশির আহমেদ বলেন, মারজুকা তার মাদ্রাসার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার মুখস্থ করার ক্ষমতা ব্যতিক্রমী ছিল। তিনি মারজুকার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।
মাত্র ১০ বছর বয়সে কোরআন মুখস্ত করা এই শিশু হাফেজা ভবিষ্যতে দ্বীনি ইলম অর্জনের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে আল কোরআনের বাণী পৌঁছে দিতে চায়। এ প্রত্যাশা পূরণে তার পরিবার দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছে।