
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, চরফ্যাশন (ভোলা)
ভোলার চরফ্যাশনে চরের জমি ও পাকা ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মানববন্ধনে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধের বাইরে কৃষিজমিতে দুই পক্ষ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের সময় উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথম পক্ষের প্রতিনিধি বজলুর রহমান ও ফারুক আখন অভিযোগ করেন, ১৯৭২ সালে ২ হাজার ৭০৫ জন কৃষকের নামে ৩ হাজার ৮০৫ একর জমি যৌথ কৃষি খামারের জন্য বন্দোবস্ত হয়। আদালতের রায়ে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ ও ধান রোপণ করেন। ধান পাকলে সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা প্রভাষক রেজাউল করিম খন্দকার ও তার লোকজন জোরপূর্বক ধান কাটার চেষ্টা করেন। কৃষকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবি জানান।
অন্য পক্ষের প্রতিনিধি ভূমিহীন কৃষকরা জানান, ১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৩৬৫ জন ভূমিহীন কৃষক সরকার থেকে জমি বন্দোবস্ত পেয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে জমিতে চাষাবাদ ও খাজনা প্রদান করে আসছেন। তারা দাবি করেন, বজলুর রহমান ও ফারুক আখন জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া খতিয়ান তৈরি করে জমি দখলের চেষ্টা করছেন।
প্রভাষক রেজাউল করিম খন্দকার বলেন, তাঁর কোনো জমি নেই। তিনি সবসময় আইন মেনে চলেছেন এবং ভবিষ্যতেও কোনো সংঘাত চান না। প্রকৃত মালিকানাধারীরা জমি পাবেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) মো. মেহেদী হাসান বলেন, দুই পক্ষের মানববন্ধনের কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। উভয় পক্ষকে কাগজপত্রসহ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে বলা হয়েছে।