
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বরগুনা
বরগুনা সদর উপজেলার কড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মীর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকদের সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া, হুমকি ও কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন। ৭ ডিসেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ৩৫ জন প্রধান ও সহকারী শিক্ষক লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
জানা গেছে, ১ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভায় চলমান তিন দফা দাবিভিত্তিক কর্মবিরতি নিয়ে বক্তব্য দেন লিটন। ওই বক্তব্যে তিনি একাধিক প্রধান শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, লিটন প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমাদের ১০ম গ্রেড দিলে তোরা তো আরও উপরে যাবি, তোদের কোনো ক্ষতি নাই। এরপরও যদি ওরা দায়িত্ব পালন করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ‘থুথু দিবস’ পালন করা হবে।
তার এমন মন্তব্য শিক্ষক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
প্রধান শিক্ষকরা বলেন, সরকার ঘোষিত বিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়নসহ নিয়মিত দায়িত্ব পালনে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে একজন সহকারী শিক্ষকের উসকানিমূলক ও দায়িত্বহীন বক্তব্যে শিক্ষক সমাজে হতাশা, আতঙ্ক ও বিভাজনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পরস্পরের পরিপূরক এবং দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দায়িত্ব পালন করে আসলেও এমন আচরণ প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হতে পারে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক লিটন বলেন, তার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি কোনো ‘থুথু দিবস’ করার কথা বলেননি। তিনি বলেন, আমি বলেছি- আমরা একত্রে কাজ করি। কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করলে আমাদের মানুষ থুথু দিবে। এটাকে ভুলভাবে বানানো হয়েছে যে, আমি প্রধান শিক্ষকদের গায়ে থুথু দিব। তিনি আরও বলেন, বরগুনা শিক্ষক সমিতিতে দীর্ঘদিন নির্বাচন হয় না এবং কয়েকজন নেতা লুটপাট করে খায়। তার প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিও) আবু জাফর মো. ছালেহ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর