টাকার বিনিময়ে হামলার অভিযোগ কলাপাড়ায় কৃষক পরিবারের ওপর শ্রমিকদল নেতার তাণ্ডব, আহত ৬

হোম পেজ » পটুয়াখালী » টাকার বিনিময়ে হামলার অভিযোগ কলাপাড়ায় কৃষক পরিবারের ওপর শ্রমিকদল নেতার তাণ্ডব, আহত ৬
বৃহস্পতিবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০২৫


কলাপাড়ায় কৃষক পরিবারের ওপর শ্রমিকদল নেতার তাণ্ডব, আহত ৬

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে মাছের ঘেরের বিরোধকে কেন্দ্র করে এক কৃষক পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শ্রমিকদল নেতা ফরিদ চৌকিদারের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় হামলায় একই পরিবারের ছয়জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেড়িবাঁধ এলাকার বাইরে একটি ছোট মাছের ঘের দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে রেখেছিলেন আলমগীর মুসুল্লি। গত পরশু ঘেরের মাছ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আলমগীরের সঙ্গে স্থানীয় নূরজামাল হাওলাদারের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে বুধবার সন্ধ্যায় শ্রমিকদল নেতা ফরিদ চৌকিদার, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাজিব, যুবদল নেতা নাজমুলসহ ১৫-২০ জনের একটি দল কৃষক পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ঘরের বিদ্যুতের মিটার ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে।
ভুক্তভোগী আলমগীর মুসুল্লি বলেন, আমাদের তাদের সঙ্গে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না। নূরজামাল হাওলাদার টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ঘটনায় আলমগীর মুসুল্লি, তার স্ত্রী ময়না বেগম, দুই ছেলে হাসান ও হাবিব এবং ভাই আল-আমিন আহত হন। পরিবার সূত্র জানায়, হাসান, হাবিব ও ময়না বেগমের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
আহত হাসান বলেন, আমরা শুধু ঘের থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা পরিকল্পিতভাবে দল বেঁধে এসে মারধর করেছে এবং ঘর ভাঙচুর করেছে।
হাবিব বলেন, সেদিন বিকেলেই তারা আমাদের হুমকি দিয়েছিল। পরে সন্ধ্যায় এসে হামলা চালায়। এখন আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর থেকে ফরিদ চৌকিদার বিভিন্ন অনিয়ম ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ফরিদ বিভিন্ন স্থানে টাকার বিনিময়ে ‘বটবাহিনী’ নিয়ে হামলার কাজ করে থাকে।
অভিযোগ অস্বীকার করে নূরজামাল হাওলাদার বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
অভিযুক্ত ফরিদ চৌকিদার জানান, তিনি মারধর করেননি। বরং মারামারির খবর পেয়ে ছাড়াতে গিয়েছিলেন। তার দাবি, হামলায় তিনিও মারধরের শিকার হয়েছেন। টাকা নিয়ে হামলার অভিযোগ তিনি এড়িয়ে যান।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

এমই/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৩:১২ ● ২০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ