বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

হোম পেজ » বরগুনা » বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বুধবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৫


 

রগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন

সাগরকন্যা প্রতিবেদন, বরগুনা

দ্বিতীয় স্ত্রীর নিকট যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন।

অভিযুক্ত মো. জসিম উদ্দিন বর্তমানে বরগুনায় কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী উপজেলার প্রাণ হরিদাস রোড, দক্ষিণ কাট্টলির বাসিন্দা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। এ তথ্য বুধবার দুপরে নিশ্চিত করেন বাদির আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন।

বাদি গত ৫ অক্টোবর ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জসিম উদ্দিন বাদির গ্রামের একটি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বাদি তখন বিবাহিত ছিলেন। জসিম উদ্দিন তাকে পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেন। পরে বাদি তালাক দিয়ে ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জসিম উদ্দিনকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর তাকে বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসের একটি ফ্লোরে ভাড়া বাসায় রাখেন জসিম উদ্দিন। কিছুদিন পর তার নিকট ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় বাদি মামলা করলে জসিম উদ্দিন আপোস করে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করেন।

বাদি জানান, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর জসিম উদ্দিন তাকে ৯১ লাখ টাকার কাবিননামা প্রদান করেন। এরপর চলতি বছরের ২ অক্টোবর নিজের বাড়িতে বিল্ডিং নির্মাণের জন্য আবারও ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তিনি অস্বীকার করলে পুনরায় নির্যাতনের শিকার হন এবং মামলা দায়ের করেন।

বাদির আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, মামলা করার পর ট্রাইব্যুনাল বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শরিয়ত উল্লাহকে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ১ নভেম্বর তিনি প্রতিবেদন দেন যে বাদির অভিযোগ সত্য নয়। এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদির পক্ষ থেকে নারাজি দাখিল করা হলে ট্রাইব্যুনাল মো. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

বাদির দেওয়া মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াকুব হোসাইন বলেন, আমরা এখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা পাইনি। পরোয়ানা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৬:৪২ ● ৪৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ