
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্বাচনে অবৈধভাবে অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সুপারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসার অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মহিউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে ৮ ভোটারের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচিত হন ড. মোহাম্মদ শাকির হোসাইন। তিনি ৭ ভোট পান। প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাই জোমাদ্দার পান ১ ভোট।
এদিকে ভোটার তালিকায় জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত প্রার্থী আব্দুল হাই জোমাদ্দার। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তিকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে দেখানো হয়। তার মেয়ে তাসনিয়া প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-এমন দাবি করা হলেও মাদ্রাসায় গিয়ে ওই নামের কোনো শিক্ষার্থীর ভর্তি তথ্য বা নথি পাওয়া যায়নি। রবিবার সাংবাদিকরা নথি চাইলে সুপার দুই ঘণ্টা অনুসন্ধান করেও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
অভিযোগকারী আব্দুল হাই জোমাদ্দার সাগরকন্যাকে বলেন, নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হলেও প্রিজাইডিং অফিসার তা গ্রহণ করেননি। তিনি সুপারের সঙ্গে সমন্বয় করে নিজের মতো করে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত মো. মোস্তফা বলেন, তার মেয়ে নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি আছে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. ছরোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্রীর ভর্তির তথ্য মাদ্রাসায় ছিল। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হয়েছে। কেউ তথ্য সরিয়ে ফেলতে পারে।
প্রিজাইডিং অফিসার ডা. মহিউদ্দিন বলেন, সুপারের প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুযায়ীই তিনি ভোটগ্রহণ করেছেন।
ইন্দুরকানি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো. অলিউর রহমান রুবেল বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে/এমআর