আদালতের নির্দেশনা অমান্য! কলাপাড়ায় বাড়ির সীমানা পিলার ভাঙচুরের অভিযোগ

হোম পেজ » পটুয়াখালী » আদালতের নির্দেশনা অমান্য! কলাপাড়ায় বাড়ির সীমানা পিলার ভাঙচুরের অভিযোগ
বুধবার ● ১২ নভেম্বর ২০২৫


 

কলাপাড়ায় বাড়ির সীমানা পিলার ভাঙচুরের অভিযোগ

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ির সীমানা পিলার উপড়ে পানির লাইন ভাঙচুর ও গাছপালা উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল জলিল।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। জলিল জানান, তিনি ২০১৯ সালে আমমোক্তারনামার মাধ্যমে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে ১৭ দশমিক ৪২ শতক জমি তার স্ত্রী মরিয়ম আফরোজের নামে হস্তান্তর করেন এবং সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন।

তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ৭ আগস্ট ওই ঘর ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়। আদালত দোতরফা সূত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু ওই আদেশ উপেক্ষা করে গত ৯ নভেম্বর সকালে দা, ছেনি ও হাতুড়ি দিয়ে সীমানা পিলার উপড়ে ফেলা, পানির লাইন ভাঙচুর ও গাছপালা উপড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আব্দুল জলিল কলাপাড়াস্থ নেছারুদ্দিন সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদারসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে গতকাল (১১ নভেম্বর) কলাপাড়া সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আব্দুল জলিল অভিযোগ করেন, দলিলপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও তাকে তার ক্রয়কৃত জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার গণমাধ্যমকে জানান, মাদ্রাসার ৭০ বছরের দখলকৃত জমি আওয়ামী লীগ আমলে দখল করা হয়েছিল। এখন বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলেও নিষেধাজ্ঞার পর কোনো কাজ করা হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান শানু সিকদার ও এস এম নজরুল ইসলাম সিকদার উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৯:৩০ ● ২৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ