
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আমন ধানে ব্যাপক পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত সবুজ ফসলের ক্ষেত হলুদ হয়ে ঝলসে যাচ্ছে। এতে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে, কেউ কেউ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা, বাহেরচর, মুরাদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরাদিয়া, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রাজাখালী, চরবয়েড়া, লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারগাছিয়া ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগি, বাঁশবুনিয়া গ্রামের কৃষকরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে পাতা মোড়ানো ও গাছ শুকিয়ে ফেলা পোকার (ঝলসানো পোকা) আক্রমণ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উঁচু জমির ধানগাছ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, প্রথমে পাতাগুলো হলুদ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে, এরপর ধানের শিষ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও কার্যকর ফল পাচ্ছেন না। স্থানীয় বাজার থেকে পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ কিনে প্রয়োগ করায় অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতি আরও বেড়েছে।
আঠারগাছিয়া গ্রামের কৃষক ফজলু রহমান, জসিম উদ্দিন, নুর ইসলাম শরীফ বলেন, বাবুল হাওলাদার বলেন, প্রায় সব ক্ষেতেই পোকা ধরেছে। নিয়মিত ওষুধ দিচ্ছি, কিন্তু তাতে কোন কাজ হচ্ছে না। এভাবে চললে ফসল ঘরে তোলাই কষ্টকর হবে। তারা অভিযোগ করেন, কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোন কার্যকর পরামর্শ বা সহায়তা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, আমন ধানে পোকার আক্রমণের বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকিতে আছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে পোকা দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত ক্ষেত চিহ্নিত হলে দ্রুত সঠিক কীটনাশক প্রয়োগ ও আক্রান্ত পাতা হাতে না ধরার পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন কৃষকদের মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। বছরের প্রধান ফসল হিসেবে আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের কৃষকরা ক্ষতির আশঙ্কায় দিন পার করছেন-ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত শঙ্কা কাটছে না তাদের মনে।
এমআর