ফি নির্ধারণ নিয়ে ভিন্ন মত! সুন্দরবনে খুলছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘আলীবান্দা’

হোম পেজ » খুলনা » ফি নির্ধারণ নিয়ে ভিন্ন মত! সুন্দরবনে খুলছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘আলীবান্দা’
বুধবার ● ৫ নভেম্বর ২০২৫


সুন্দরবনে খুলছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘আলীবান্দা’

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, শরণখোলা (বাগেরহাট)

চলতি মাসে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগে খুলছে নতুন দুয়ার-আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার। দর্শনার্থীদের জন্য এটি নতুন আকর্ষণ হিসেবে উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে প্রস্তুতির সব কাজ শেষ হয়েছে।

তবে একই বনের বিভিন্ন স্পটের প্রবেশ ফি পার্থক্যকে ঘিরে কিছুটা দ্বিধা ও হতাশা দেখা দিয়েছে পর্যটক ও ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

পূর্ব সুন্দরবনের নিসর্গঘেরা অভয়ারণ্যে গড়ে ওঠা আলীবান্দা কেন্দ্রটি সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের বুক চিরে, নদীর নোনাজলে ভেসে থাকা প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য উপহার পাবেন পর্যটকরা, এমন ধারণা ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের। শরণখোলা রেঞ্জ অফিস থেকে ট্রলারযোগে মাত্র ৪০ মিনিটের পথ। যাত্রাপথে চোখে পড়বে সবুজ বন, ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির উড়াউড়ি, কচুরিপানায় ঢাকা জলাশয় এবং সুন্দরী-গেওয়া গাছের সারি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই কেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়। এখানে ছয়তলা সমতুল্য ওয়াচ টাওয়ার, দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ফুট ট্রেইল (ওয়াকওয়ে), মিষ্টি পানির পুকুর, হরিণ রাখার সেড, জেটি ও পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তায় থাকবে বনরক্ষী ও স্থানীয় গাইডদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান।

ভৌগোলিকভাবে বরিশাল বিভাগের সাত জেলার মানুষের জন্য এটি সহজগম্য একটি সুন্দরবন স্পট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, কম সময় ও ঝুঁকিমুক্ত সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ তৈরি হবে, যা স্থানীয় পর্যটন ও অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা আনবে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন সাগরকন্যাকে বলেন,

আলীবান্দা চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটি পর্যটক গাইড, নৌযানচালক, হোটেল ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়াবে।

তবে প্রবেশ ফি নিয়ে তার রয়েছে অসন্তোষ। আলীবান্দায় ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪৫ টাকা, যেখানে করমজলসহ অন্যান্য পর্যটন পয়েন্টে ফি মাত্র ৪৬ টাকা।

শরণখোলা ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল বয়াতী বলেন,

অনেকে আলীবান্দায় যেতে আগ্রহী, কিন্তু ফি বেশি হওয়ায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, আলীবান্দা এখন প্রায় প্রস্তুত। চলতি মাসেই এখানে হরিণ আনা হবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটকদের জন্য খোলা হবে। যেহেতু এটি ২০১৭ সালে ঘোষিত অভয়ারণ্য এলাকার অংশ, তাই সাধারণ বনাঞ্চলের তুলনায় কিছু বিধিনিষেধ ও প্রবেশ ফি বেশি রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।


এনই/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৭:৫৩ ● ৩৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ