কুয়াকাটায় ব্যাপক আয়োজনে চার দিনব্যাপী রাস মেলার প্রস্তুতি

হোম পেজ » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় ব্যাপক আয়োজনে চার দিনব্যাপী রাস মেলার প্রস্তুতি
শনিবার ● ১ নভেম্বর ২০২৫


 

কুয়াকাটায় ব্যাপক আয়োজনে চার দিনব্যাপী রাস মেলার প্রস্তুতি

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় আয়োজন রাস পূর্ণিমা ও রাসমেলা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা ও লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে প্রতিবছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে এটি কুয়াকাটার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রম আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে আয়োজকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নীহার রঞ্জন মণ্ডল।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসিন সাদেক, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদ হাসান, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম.এ. মোতালেব শরীফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আয়োজকরা জানান, ৪ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে রাস উৎসব ও রাসমেলা। উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, পরিচ্ছন্নতা ও দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ার নীহার রঞ্জন মণ্ডল বলেন, রাস পূজা এখন কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এতে অংশ নেন, যা স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, রাস উৎসবকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হয়। এজন্য জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের সহায়তায় বহিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ বলেন, রাস উৎসব কুয়াকাটার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে উৎসব উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাস উৎসবের সময় কুয়াকাটা সৈকতে সৃষ্টি হয় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ ও মিলনের এক অনন্য পরিবেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্ত ও পর্যটকরা গঙ্গাস্নান ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এতে উপকূলীয় শহর কুয়াকাটা পরিণত হয় এক প্রাণময় উৎসব নগরীতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৪:৪৬ ● ৩৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ