
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় পানির ট্যাংক দেওয়ার নামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মেকানিক আশিষ মজুমদার। অভিযোগের পর থেকে তিনি অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
জানা গেছে, পূর্বের কর্মস্থল থেকে শাস্তিমূলক বদলি হয়ে মঠবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য অফিসে যোগদানের পরই আশিষ মজুমদার ট্যাংক বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। ৩ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার প্রতিটি পানির ট্যাংকের বিপরীতে ৫ হাজার এবং একটি ডীপ টিউবওয়েলের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে শিক্ষকদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লকের কাজ তদারকির সময় শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন আশিষ। দ্রুত ট্যাংক সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে টাকা নিলেও মাসের পর মাস পার হলেও তা সরবরাহ করেননি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
৩০নং বড়শৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আশিষ আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার ও অপর শিক্ষক জসিমের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে।
একইভাবে শহীদুল ইসলাম নামের অপর শিক্ষক জানান, ৬ মাস আগে আশিষ এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয় ট্যাংক দেওয়ার কথা বলে, কিন্তু এখনো দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী অভিযোগ করেন, আমার বোনের মেয়েকে প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে আশিষ দুইটি ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ হাজার টাকা নেয়। এখনো টাকা বা ট্যাংক কোনোটিই পাইনি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার লিটন বলেন, আশিষ মজুমদার অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত সরকার জানান, বিষয়টি বরিশাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে অবগত করা হবে, তিনিই নিয়োগ কর্তৃপক্ষ হিসেবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত মেকানিক আশিষ মজুমদারের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরএইচআর/এমআর