
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বরিশাল
পটুয়াখালীর বিএনপিতে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় এখন থেকে কোনো নেতাকর্মী সালিশ, পক্ষপাতমূলক মধ্যস্থতা বা দাঙ্গা-ফ্যাসাদে যুক্ত হতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা কমিটি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান টোটনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেতাকর্মীরা কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি, সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন ও জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনেই নিয়োজিত থাকবেন। অমান্য করলে তা শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে।
কয়েক মাস ধরে পটুয়াখালী সদর ও কলাপাড়া উপজেলার বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সালিশ, আর্থিক লেনদেন ও পক্ষপাতমূলক মধ্যস্থতায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া, লোহালিয়া ইউনিয়ন এবং কলাপাড়ার কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরে এই বিষয়গুলো জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সালিশ বৈঠকগুলো সাধারণত রাতে স্কুল মাঠ বা দলীয় প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। কাগজে মীমাংসার কথা থাকলেও বাস্তবে তা অনেক সময় টাকা ও রফা-দফার দরকষাকষিতে পরিণত হয়। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, সালিশদারদের খুশি করতে বাধ্য করা হয়।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জারি করা নতুন নির্দেশনার পাশপাশি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক প্রবীণ নেতা সাগরকন্যাকে বলেন, সালিশের নামে টাকা নেওয়া বরদাস্ত করা হবে না। তাই এবার দলের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির একটি সূত্র দাবি করেছে, জেলার বিভিন্ন ইউনিটের সাধারণ নেতাকর্মীরা প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিকে স্বাগত জানালেও একটি অংশ এটাকে ‘ঘরের কথা পরকে জানানো’র মতো মনে করছেন। সব মিলিয়ে দলীয় ফোরামে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বেশ আলোচনার ঝড় বইছে বলে জানা গেছে।