সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মহিপুরে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে হারুন অর রশীদ নামের এক ভূয়া ডাক্তারকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মহিপুর বন্দরের এশিয়া ডেন্টাল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাকে দণ্ড দেওয়া হয়।
কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন জানায়, হারুন অর রশীদ ছয় বছর ধরে নিজেকে দাঁতের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখছিলেন। ভিজিট বাবদ তিন থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত নিতেন। দাঁতের চিকিৎসক না হয়েও রোগীদের চোখের চিকিৎসা দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ভাই আব্দুল হাকিমও দাঁতের ডাক্তার সেজে মহিপুরে চক্ষু চিকিৎসক পরিচয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর এক শিশুকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে অভিভাবকরা প্রতারণার শিকার হন। সাইনবোর্ডে দেওয়া নম্বরে ফোন করলে আব্দুল হাকিম পরিচয় দিলেও কিছুক্ষণ পর হারুন অর রশীদ এসে চিকিৎসা দেন। বিষয়টি এলাকায় প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত ভূয়া ডাক্তারকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসীন সাদেক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করছিলেন হারুন অর রশীদ। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
