
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ১১টি রাস্তা ও ৪টি সেতুর নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বর্ষায় এসব রাস্তা জলাবদ্ধ হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে সাঈদখালী ২ কিমি, মধ্য কালাইয়া থেকে সরদারবাড়ি ১ কিমি, পত্তাশী ইউপি থেকে খেজুরতলা হাট ১ কিমি, চালনা ব্রিজ থেকে বৌডুবি ১.৫ কিমি, বালিপাড়া জমাদ্দার হাট থেকে কাপালিবাড়ি ১ কিমি, চন্ডিপুর স্টিল ব্রিজ থেকে খোলপটুয়া ১.৫ কিমি, বালিপাড়া হাইস্কুল থেকে সোবাহান চেয়ারম্যানের বাড়ি ১ কিমি, পাড়েরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে হোগলাবুনিয়া ১ কিমি ও চরাখালী কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত ১ কিমিসহ মোট ১১টি রাস্তার কাজ অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। পাশাপাশি এসব রাস্তার সংলগ্ন সেতু ও কালভার্টের কাজও বন্ধ রয়েছে।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, অধিকাংশ কাজের টেন্ডার নিয়েছিল ইএফটি-ইটিসিএল সরদার এন্টারপ্রাইজ ও ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ঠিকাদাররা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ইএফটি-ইটিসিএল-এর লাইসেন্সে থাকা ৮টি রাস্তার কার্পেটিং কাজ ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মজিদ অভিযোগ করেন, উপজেলা এলজিইডি অফিসের গাফিলাতি ও উপজেলা প্রকৌশলীর দুর্নীতির কারণেই কাজ বন্ধ হয়ে আছে। তিনি দাবি করেন, কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমন বলেন, রাস্তাগুলোর কাজ হলে মানুষের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো। কেন এগুলো ফেলে রাখা হয়েছে, আমরা জানি না।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিন্ডিকেট করে টেন্ডার নেওয়া হলেও কাজ হয়নি। সামান্য কাজ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার। আমরা দ্রুত কাজ সম্পন্নের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, পরিত্যক্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।
এসকে/এমআর