
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার আমতলীতে রাতের আধারে ঘর ভাঙার ঘটনায় মামলা করার পর বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী জাকির মাতুব্বর। মামলা তুলে না নিলে আসামিরা তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে এ অভিযোগ করেন জাকির। তিনি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাকির মাতুব্বর ২০০১ সালে সরকার থেকে এক একর জমি বন্দোবস্ত পান। ওই জমিতে তিনি দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে বসবাস করছেন। গত বছর ৭ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক মলয় চন্দ্র পলাশ প্রভাব খাটিয়ে ওই বাড়ির অন্তত ৮ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত বছরের ৫ ডিসেম্বর বরগুনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মলয় চন্দ্র পলাশকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন জাকির। ওই মামলায় মলয় কিছুদিন কারাভোগ করেন। পরে আপস শর্তে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, চলতি বছরের ১৬ আগস্ট রাতে মলয় চন্দ্র পলাশ ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের মুখে জাকিরের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ঘর ভেঙে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত রবিবার জাকির বাদী হয়ে মলয় চন্দ্র পলাশসহ ছয়জনকে আসামি করে আমতলী থানায় মামলা করেন।
জাকির মাতুব্বর জানান, মামলা করার পর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে তাকে চাপ দিচ্ছে। মামলা না তুললে তাকে ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
জাকিরের স্ত্রী রাজিয়া বেগম বলেন, মামলার পর থেকে অপরিচিত লোকজন বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক মলয় চন্দ্র পলাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।