থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ বাউফলে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

হোম পেজ » পটুয়াখালী » থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ বাউফলে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা
শুক্রবার ● ১ আগস্ট ২০২৫


সন্তানসহ অভিযুক্ত স্বামী সরোয়ার হোসেন দম্পতির সংগৃহীত ছবি

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বাউফল (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মধ্যরাতে চার বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে বাউফল থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।

নিহত সালমা আক্তার (৩২) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে। তিনি বাউফলের নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। অভিযুক্ত স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নদমুলা গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, চাকরির সুবাদে সালমা ও সরোয়ার তাদের চার বছরের ছেলে সারফারাজকে নিয়ে চন্দ্রপাড়া গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ওই কলহের জেরে সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে কোপ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান সালমা। এরপর তিনি বাসার দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যান।

বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, সরোয়ার থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। শিশুটিকেও পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, সরোয়ার দাবি করেছেন, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৬:৩৫ ● ১৩০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ