
হোসাইন আলী কাজী, আমতলী থেকে (বরগুনা)
বরগুনা জেলার তিনটি পুরনো সংসদীয় আসন পূনর্বহাল না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার ১২ লাখ মানুষ।দাবি জানিয়ে তাঁরা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বরগুনায় তিনটি আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে তা কমিয়ে দুইটি করা হয়। এতে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন আমতলী ও তালতলী উপজেলার চার লাখ মানুষ। বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলা দুই নদী দ্বারা বিভক্ত। পায়রা নদীর পূর্ব পাড়ে আমতলী ও তালতলী। পশ্চিমে বরগুনা সদর ও বেতাগী। বিশখালীর পশ্চিম পাড়ে পাথরঘাটা ও বামনা। নদীর কারণে নির্বাচনের সময় প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দেয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় হিমশিম খেতে হয় বাহিনীকে। বরগুনায় তিনটি আসন পূনর্বহালের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঁচবার আবেদন করা হয়। কিন্তু খসড়া তালিকায় সেই আবেদন আমলে নেয়নি কমিশন।
এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি ও সুশীল সমাজের নেতারা বলেন, বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন ফেরানোর মধ্যেই রয়েছে সমতার ন্যায্যতা।
তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম লিটন বলেন, ২০০৮ সালে পরিকল্পিতভাবে বরগুনা-৩ আসন বিলুপ্ত করা হয়। এবারও সেই বৈষম্যই চলছে।
আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, আশাবাদী ছিলাম আসন ফিরে পাবো। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আশাহত করেছে।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মোস্তফা কাদের বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আসন পূনর্বিন্যাস ছিল জরুরি।
আমতলী বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, ২০০৮ সালের ভুল সিদ্ধান্ত এখনো বহাল থাকায় আমরা বঞ্চিত।
আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. গাজী মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নদী বিভক্ত ভৌগোলিক বাস্তবতা বিবেচনায় বরগুনায় তিনটি আসনই যৌক্তিক।
সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের এপিএস ওমর আব্দুল্লাহ শাহীন বলেন, ২০০৮ সালের সরকারি গেজেটেও বরগুনা-৩ বিলুপ্তির যৌক্তিকতা নেই। তা সত্ত্বেও তা ফিরিয়ে আনা হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, বরগুনার মানুষ উন্নয়ন ও প্রশাসনিক সমতার স্বার্থে তিনটি আসনই চান। নির্বাচন কমিশনের উচিত তা বিবেচনায় নেওয়া।