গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে বলেশ্বর পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এতে আরও অন্তত ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন—ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুজ্জামান এবং আরমান পরিবহনের হেল্পার সেলিম হোসেন ব্যাপারী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ঢাকাগামী বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গোপীনাথপুর এলাকায় একটি ট্রাক মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। বলেশ্বর বাসটি ট্রাকটির পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এই ধাক্কার পরই পেছন দিক থেকে আসা আরমান পরিবহন এবং এসপি গ্রীন লাইন পরিবহনের আরও দুটি বাস সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য রফিকুজ্জামান এবং বাস হেলপার সেলিম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
আহতদের নাম ও পরিচয়
আহতদের মধ্যে যারা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন:
মো. সেলিম রেজা (চাঁদপুর, মতলব উত্তর), ইব্রাহিম (বাগেরহাট, মোল্লাহাট), আবির সরদার (যশোর, কেশবপুর), রোহান (ঢাকা, নিউ মার্কেট), সোহেল রানা (চট্টগ্রাম, পাহাড়তলী), মুজিবুর শেখ (মাদারীপুর, মোস্তফাপুর), মনির হোসেন (খুলনা, শেখ পাড়া), বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য
এক স্থানীয় দোকানদার বলেন, “রাতের নীরবতায় হঠাৎ বিকট শব্দে চারটি গাড়ি পরপর ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি একাধিক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।”
পুলিশের বক্তব্য
গোপালগঞ্জ হাইওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো উদ্ধার করে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
