সাগরকন্যা কলাপাড়া অফিস ॥
কলাপাড়ার পায়রা বন্দর থেকে ফেয়ারওয়ে বয়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ১৫২চি কন্টেনারবাহী জাহাজ এমভি গলফ আরগো ডুবির ঘটনায় উদ্ধার ১৪ নাবিককে খুলনা নেভাল প্রভোস্টে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার বিকালে পায়রা সমুদ্র বন্দরের পন্টুনে খুলনা নেভাল প্রভোস্টের চীফ পেটি অফিসার নাজমুল ইসলাম ১৪ নাবিককে গলফ ওরিয়েন্ট সীওয়েচ লিমিটেডের লজিস্টিক ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করেন। আইনী প্রক্রিয়া শেষে ১৪ নাবিককে নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। উদ্ধারকারী ১৪ নাবিক বর্তমানে সুস্থ্য আছেন।
তারা হলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন কাজী আব্দুল্লাহ আল মুহিত (৩৫) নোয়াখালী, চীফ ইঞ্জিনিয়ার হাসান রেজা খালিদ (৩২) চট্টগ্রাম, চীফ অফিসার কাজী মাহবুব আলম (২৮) গোপালগঞ্জ, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার নূর আলম হিমেল (২৬) নারায়ণগঞ্জ, থার্ড মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন (২৪) নোয়াখালী, বোসনমেট রফিক উল¬াহ (৫৯) ফেনী, এ্যাবল সীম্যান মোঃ জুবায়ের হোসেন (২৪) চট্টগ্রাম, অডিনারী সীম্যান সুজন মুখারজি (২০) ফরিদপুর, অডিনারী সীম্যান মোঃ সাহাবুদ্দিনসহ (২১) ভুলা, শাহদাত হোসেন (৩৭) লক্ষীপুর, জমিরুল ইসলাম (৩০) চট্টগ্রাম, শহিদ মিয়া (২৩) রংপুর, মোঃ রাজু (২৫) চট্টগ্রাম এবং আব্দুর রশিদ (৫০) চট্টগ্রাম।
উল্লেখ্য ১২ সেপ্টেম্বর রাতে সাগর প্রচন্ড উত্তাল থাকায় ফেয়ারওয়ে সাত নং বয়ার কাছাকাছি কোলকাতা থেকে চট্রগ্রামগামী জাহাজ গলফ আরগো তলা ফেটে সাগরে ডুবে যায়। প্রায় ১৪ ঘন্টা সাগরে ভাসার পর সমুদ্রে টহলরত নৌবাহিনীর জাহাজ সাঙ্গু ১৪ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে। কিন্তু জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজের কন্টেনারগুলো সাগরে ভেসে যায়। এসব কন্টেনারে কী ধরণের পণ্য রয়েছে তা নাবিকরা জানাতে পারেনি। উদ্ধার হওয়া নাবিকরা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার। গলফ ওরিয়েন্ট সীওয়েজ লিমিটেডের লজিষ্টিক ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামান বলেন, নৌবাহিনীর একান্ত প্রচেষ্টায় ১৪ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। এজন্য তাঁরা নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এমএম/কেএস
