ফলোআপ- মেঘনায় ট্রলারডুবি: দুই লাশের পরিচয় মিলেছে, এখনও নিখোঁজ ১৮

প্রথম পাতা » ঢাকা » ফলোআপ- মেঘনায় ট্রলারডুবি: দুই লাশের পরিচয় মিলেছে, এখনও নিখোঁজ ১৮
সোমবার ● ২১ জানুয়ারী ২০১৯


---

মুন্সীগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় ট্রলারডুবির ছয় দিন পর ভেসে ওঠা দুইজনের লাশের পরিচয় জানা গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৮ জন। মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-গজারিয়া) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, সোমবারও তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকে। চাঁদপুরের ষাটনলের কাছে মেঘনায় নৌবাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ‘অনুসন্ধান চালায়। যে দুজনের লাশ রোববার ভেসে উঠেছে তারা হলেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের মইজউদ্দিন ছেলে রহমত আলী (৩৯) এবং পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুণ্ডুমালা গ্রামের লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৭)। গত ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে একটি তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় মাটিবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। ওই ট্রলারে তখন ৩৪ জন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন সাঁতারে তীরে উঠতে পারলেও ২০ জন নিখোঁজ থাকেন। ছয় দিন তল্লাশির পর রোববার সকালে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া লঞ্চঘাটের কাছে মেঘনায় ভাসমান একটি লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। রাতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে এসে তাকে রহমত আলী হিসেবে সনাক্ত করেন তার ভাই সোহেল রানা। এরপর বেলা ১২টার দিকে গজারিয়া উপজেলার অদূরে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকায় আরেকটি লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। গভীর রাতে চাঁদপুর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তাকে রফিকুল ইসলাম হিসেবে সনাক্ত করেন তার চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান। রহমতের শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশফাকুজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ট্রলারের প্রোপেলারের আঘাতে এমনটি হয়েছে। রাতেরই লাশ দুটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ ১৮ জনের একটি তালিকা করেছে মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন।
এরা হলেন- পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুণ্ডুমালা গ্রামের গোলাই প্রামাণিকের ছেলে সোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ হোসেন ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন-১, আবদুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নূর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, ছায়দার আলীর ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাব হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন-২, দাসমরিচ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রামাণিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চণ্ডিপুর গ্রামের আমির খান ও আবদুল লতিফের ছেলে হাচেন আলী, রজব আলীর ছেলে শফিকুল এবং সিরাজ মিস্ত্রী।

এফএন/এনইউবি

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২০:৪৩ ● ৬৪৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ