দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত

প্রথম পাতা » জাতীয় » দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
রবিবার ● ১০ মার্চ ২০১৯


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

রবিবার ছিলো জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস। প্রতি বছর ১০ মার্চ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দিবসটি পালন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি, হ্রাস করবে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আজ বিশ্বব্যাপী পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেও বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সেনাবাহিনী, আনসার, স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি সারাবিশ্বে এদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বে দুর্যোগ ঝুঁকি তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ থেকে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। তাই এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি, হ্রাস করবে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি অত্যন্ত বাস্তবধর্মী ও যথার্থ হয়েছে।’ তিনি জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৯ উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামীতেও যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলা ও এর ঝুঁকি হ্রাস করতে আমরা সক্ষম হবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সব উন্নয়ন কর্মসূচিতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম সম্পৃক্ত করেছি। গত ১০ বছরে সারাদেশে ৩ হাজার ৮৫১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৭ হাজার ৮৩০টি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ২২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৬৬টি ত্রাণ গুদাম, ৮ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার মাটির রাস্তা এইচবিবিকরণ ও ১৩ হাজার ব্রিজ,কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে।’ এছাড়াও দেশব্যাপী ৫৫০টি মুজিব কিল্লা সংস্কার ও নির্মাণ করা হচ্ছে। ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় উদ্ধার সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। আমরা একটি কার্যকর ও শক্তিশালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা ও দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা জানতে মোবাইলে ১০৯০ নম্বরে (টোল ফ্রি) আইভি আর পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়-সিডর, আইলা, ভূমিধস, বজ্রপাত, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি দুর্যোগ আমরা সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ০:০৫:৩৯ ● ৩৯৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ