কলাপাড়ায় নিজ এলাকায় আবাসন দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় নিজ এলাকায় আবাসন দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের
বৃহস্পতিবার ● ২০ অক্টোবর ২০২২


কলাপাড়ায় নিজ এলাকায় আবাসন দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশান বাড়িয়া গ্রামে পায়রা পোর্ট কর্তৃপক্ষ কয়লা সংরক্ষণের কোল্ড টার্মিনাল করার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করেন। ওই ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে পার্শ্ববর্তী লতাচাপলী ইউনিয়নে আবাসন দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তারা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে যেতে চায়না। তার দাবিতে ২০অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ওই ইউনিয়নের উত্তর নিশান বাড়িয়া গ্রামে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে ওই পরিবাদের দাবি জননেত্রী শেখ হাসিনা কাছে আমরা যেখানে আছি সেখানে থাকতে চাই।
এসময় তারা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিন বঙ্গের উন্নয়নের জন্য বড় বড় মেগা প্রযেক্ট চালু করেছে। পায়রা পোর্ট তারমধ্যে অন্যতম। সরকারের উন্নয়নের সাথে আমরা একমত রয়েছি। আমাদের পৈত্রিক ভিটে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছি।তাতে আমাদের কোন দুঃখ নেই। কিন্তু আমরা যাতে সবাই একসাথে এ ইউনিয়নেই থাকতে পারি সে ব্যবস্থা করার জোড় দাবী জানাচ্ছি। ধানখালী ইউনিয়নে একটি আবাসন রয়েছে। আমাদের সেখানে না দিয়ে অন্য ইউনিয়নে দেয়া হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্থ শিউলি,শিল্পি ও হনুফা বেগমসহ বলেন, সহায়-সম্ভল সবই সরকার নিয়ে গেছে। এখন নিজ ইউনিয়নের পরিচয়টুকু থেকেও বঞ্চিত করার কথা শুনছি। সরকারের কাছে একটাই দাবী যেখানে বাব-দাদার কবর রয়েছে অন্তত সেই এলাকায় আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হোক।
স্থানীয় হাবলু প্যাদা বলেন, ২০০৭ সালের সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার হিসাবে জাপানী ব্যারাক হাউজ আমাদের এখানে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন। সরকারের উন্নয়নের জন্য আমরা তা ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু কোন একটি কুচক্রি মহল নিজ ইউনিয়নের অধিকারটুকু ছিনিয়ে নিতে চায়। তারা মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নের ধূলারচর এলাকায় নির্মানাধীন আবাসন প্রকল্পে ঘর বরাদ্ধ দেয়ার জন্য জোর পায়তারা চালাচ্ছে। ধানখালী ইউনিয়নের বাসিন্দারা এখানেই থাকতে চায়। তারা এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রসাশকের কাছে একটি আবেদন করেছেন বলেও জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা রাইসুল ইসলাম রাজিব গাজী বলেন, এ পরিবারগুলো খবুই অসহায়। জন্ম থেকে এরা এখানেই রয়েছে। যে কোন সমস্যায় পরিচিতজনদের সাহায্য-সহযোগীতা পেয়েছে। অন্য একটি ইউনিয়নে আবাসন দিলে এদের অসুবিধা হবে। তাছাড়া এ ইউনিয়নে একটি আবাসন রয়েছে সেখানে দিলে এ অসহায় মানুষগুলোর জন্য সুবিধা হয়।
এবিষয়ে ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার বলেন, ধানখালীতে পায়রা বন্দরের একটি আবাসন রয়েছে। তাদের সেখানে ঘর বরাদ্ধ দিয়ে এ ইউনিয়নেই রাখা যায়।
পটুয়াখালী জেলা প্রসাশক মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা দেখবো।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৯:৩৭ ● ১০৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ