নেছারাবাদে মন্দির কমিটি নেতার উপর হামলা!

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে মন্দির কমিটি নেতার উপর হামলা!
মঙ্গলবার ● ৫ এপ্রিল ২০২২


হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ছবিটি তোলা হয়েছে।

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ইউপি সদস্যকে গালি-গালাজ করতে নিষেধ করায় নেছারাবাদের একটি মন্দিরের সম্পাদকের পা ভেঙ্গে দিয়েছে দুই ভাই। আহত পরিমল সমদ্দার (৫৫) উপজেলার সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের শশীদ বাজার মন্দির কমিটির সম্পাদক। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলা সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের শশীদ বাজারে ওই ঘটনা ঘটে। পরিমল সমদ্দারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত পরিমল সমদ্দার অভিযোগে বলেন, সোমবার শশীদ বাজারের কাছে একটি পরিত্যাক্ত পুলের ভীম মাটি থেকে তুলতে না পেরে মাটির সংলগ্ন কেটে ফেলে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে কবির ওই ভীমগুলো আটকে রাখে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে মেম্বার ওই ভীমগুলো ইউনিয়ন পরিষদে পাঠিয়ে দেন। রাতে মেম্বার মৃদুল মজুমদার মন্দিরের সভায় এলে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় পরিমল গালমন্দ না করার জন্য অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে কবির মৃদুল মেম্বারকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এসময় বাজারের লোকজনের হস্তক্ষেপে কবির চলে যায়। মঙ্গলবার সকালে পরিমল মন্দিরের পূজার মালামাল কেনার জন্য বাজারে গেলে কবির ও তার ভাই জাকির কাঠ দিয়ে তাকে বেদম মারপিট করলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটাসহ ডান পায়ে মারাত্মক আঘাত পায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. হালিমা প্রধান দোলা বলেন, পরিমল সমদ্দারকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার পায়ের এক্সরে রিপোর্ট পেলে ভেঙ্গেছে কিনা বলা যাবে। এলাকার ইউপি মেম্বার মৃদুল মজুমদার বলেন, শশীদ বাজারের পাশের খালে একটি পরিত্যাক্ত পুলের ভীম (পোষ্ট) মাটি থেকে তুলতে না পেরে মাটি সংলগ্ন কেটে ফেলে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে এলাকার কবির ওই ভীমগুলো আটকে রাখে। খবর পেয়ে বাজারে গিয়ে খালে থাকা কাটা ভীমে কোন সমস্যা হলে তা সমাধান করা হবে, এমন আশ^াসে এলাকাবাসী রাজি হয়। এরপর ভীমগুলো ইউনিয়ন পরিষদে পাঠিয়ে দেই। এতে কবির ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ শেষে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এসময় পরিমল উত্তেজীত কবিরকে গালিগালাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। তখন বাজারের লোকজনের হস্তক্ষেপে কবির চলে যায়। পরের দিন কবির ও জাকির পরিমলের সাথে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত কবির ও জাকিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৬:৪৮ ● ৩২৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ