আমতলীতে পুকুরে ঘাটলা নির্মাণ সহিংসতায় নারীসহ আহত-৮

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে পুকুরে ঘাটলা নির্মাণ সহিংসতায় নারীসহ আহত-৮
সোমবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২০


আমতলীতে পুকুরে ঘাটলা নির্মাণ সহিংসতায় নারীসহ আহত-৮

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পুকুরে ঘাটলা নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় প্রতিবেশী জহির সিকদার ও তার লোকজনের হামলায় ৮ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত চার জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের পুকুরে সোমবার দুপুরে প্রতিবেশী জহির সিকদার ৭-৮ জন লোক নিয়ে গোসল করতে যায়। এ সময় তারা ওই পুকুর পাড়ে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির সবজি গাছ কেটে ফেলে এবং জোরপূর্বক ঘাটলা নির্মাণ শুরু করেন। ওই সময় পুকুরের মালিক ইদ্রিস হাওলাদার তাদের ঘাটলা নির্মাণে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহির সিকদারের নেতৃত্বে আসা লোকজন ইদ্রিস হাওলাদার এবং তার লোকজনের ওপর ধারালো দা ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ইদ্রিস হাওলাদারের লোকজন তাদের প্রতিহতের চেষ্টা করে। এতে উভয় পক্ষে ৮ জন আহত হয়। গুরুতর আহত মাহফুজা বেগম (৬০), মোশাররফ হোসেন (৪৫), ইদ্রিস হাওলাদার (৫০),জহির সিকদার (৫০), রাসেল সিকদার (১৮), সিদ্দিক খলিফা (১৬), সোহেল খলিফা (২৫) ও শাহাভানুকে (৪০) আমতলী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তারান্নুম মাহজাবিন আহত মাহফুজা, মোশাররফ হোসেন, জহির সিকদার ও সোহেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।
আহত ইদ্রিস হাওলাদার কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, জহির সিকদার এবং তার লোকজন আমার পুকুর পাড়ে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির সবজির গাছ কেটে ফেলে এবং বেড়া ভেঙ্গে জোড়পূর্বক ঘাটলা নির্মাণ করে। আমি এতে বাঁধা দিলে তারা ধারালো দা ও লাঠি দিয়ে আমার উপর হামলা করেছে। তাদের হামলায় আমিসহ আমার পক্ষের ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত জহির সিকদার হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, পুকুরে গোসল করতে না দেওয়ায় ঘাটলা নির্মাণ করতে চেয়েছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তারান্নুম মাহজাবিন বলেন, গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৪:৫৪ ● ৩১১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ