রাঙ্গাবালীতে ইজারা না নিয়ে মাছ ধরতে চাওয়ায় উত্তেজনা

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » রাঙ্গাবালীতে ইজারা না নিয়ে মাছ ধরতে চাওয়ায় উত্তেজনা
সোমবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


প্রতীকী ছবি

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বন্দোবস্ত (ইজারা) না নিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের একটি সরকারি জলমহালে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলমান রয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কখনো সমঝোতার মাধ্যমে, কখনো আবার এককভাবে মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, ইজারা না নিয়েই গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের মালেক মোল্লার বাড়ি সংলগ্ন খাস বদ্ধ খালে (জলমহাল) মাছ ধরার জন্য কয়েক দফায় পানি সেচের চেষ্টা চালানো হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী দুইটি পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে চরম উত্তেজনা চলছে। একপক্ষ মসজিদ কমিটির আর অন্যপক্ষ খালের পাড়ের পরিবারের হয়ে কখনো পৃথকভাবে এবং কখনো সমঝোতার মাধ্যমে একত্রিত হয়ে মাছ ধরার পায়তারা করছেন। মসজিদ কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আক্কাস ফরাজী ও খালের পাড়ের পরিবারের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আক্কাস সরদার। তারা ইজারা না নিয়ে অবৈধভাবে সরকারি খালে পানি সেচ করে মাছ ধরার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করলেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, একসময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ১০ একর আয়তনের ওই বদ্ধ খালটি মাছ চাষের জন্য আল আমিন নামের একজনের নামে ইজারা নিয়ে মালেক মোল্লা মাছ চাষ করেছিল। কিন্তু কয়েক বছর ধরে খালটি কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। অথচ কিছুদিন ধরে সেই খালে দুইটি পক্ষের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছে। খালটি সেচ করে পানি শুকিয়ে মাছ ধরলে কৃষকরা বিপাকে পড়বে।   সরেজমিনে দেখা গেছে, খালটিতে চারটি পাওয়ার পাম্প স্থাপন করে পানি সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইদিন খালে সেচ করে পানি কমানো হয়। কিন্তু দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে এখন সেচ বন্ধ রয়েছে।
ওই খালের পাড়ের পরিবারের পক্ষের আক্কাস সরদার বলেন, ‘গদিওয়ালা হিসেবে আমি তৈল মবিল দিছিলাম, মাছ নিব বলে। পরে বাঁধা দেয়ায় মেশিন বন্ধ করা হয়।’ তবে এ বিষয়ে জানতে মসজিদ কমিটির পক্ষের আক্কাস ফরাজীর মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, ‘এই ঘটনায় ওই এলাকা উতপ্ত রয়েছে।’ রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে  সরেজমিনে মঙ্গলবার গিয়ে এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০১:১২ ● ৪৬০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ