রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪.৪২ শতাংশ

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪.৪২ শতাংশ
শুক্রবার ● ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪.৪২ শতাংশ

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই- ডিসেম্বর) পণ্য রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। এই আয় বিগত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। আগের বছর এই সময়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭.১৫ শতাংশ। এদিকে দেশের পণ্য রপ্তানিতে সরকার নগদ সহায়তাসহ নানা উদ্যোগ নিলেও পণ্য বহুমুখীকরণ করা যাচ্ছে না। ফলে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক খাতের ওপর ভর করেই রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেও দেখা গেছে, পুরো রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে। অন্য প্রধান খাতগুলোর মধ্যে চামড়া, পাট, হিমায়িত খাদ্যপণ্যের রপ্তানি আয় নেতিবচাক। এ সময় পোশাক খাত ছাড়া আয় বেড়েছে কৃষিপণ্য, প্লাস্টিক ও সিরামিক পণ্যে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের ছয় মাসের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এতে দেখা গেছে, এ সময়ে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় দুই হাজার ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯.১৩ শতাংশ বেশি। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল এক হাজার ৮৭৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়েও সার্বিকভাবে মোট রপ্তানি আয়ের সাড়ে ৮৩ শতাংশের বেশি এসেছে পোশাক খাত থেকে। ছয় মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে এক হাজার ৭০৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫.৬৫ শতাংশ বেশি। এব্যাপারে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, আগের বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো। নির্বাচনের বছর হিসেবে রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলেও তা হয়নি। এ ছাড়া ডিসেম্বর মাসে নূন্যতম মজুরি নিয়ে বেশ কিছু কারখানা বন্ধও ছিল। এত কিছুর পরও রপ্তানির এই ইতিবাচক ধারা আগামি ছয় মাসেও ধরে রাখতে হবে বলে তিনি মনে করেন। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে গেঞ্জিজাতীয় নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৮৬৫ কোটি ২৬ লাখ ডলার, এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে প্যান্ট-শার্ট ইত্যাদি ওভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে প্রায় ৮৪৩ কোটি ২৩ লাখ ডলার, এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। রপ্তানি আয়ে দ্বিতীয় প্রধান খাত চামড়া ভালো করতে পারছে না। ছয় মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫৩ কোটি ২৩ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম। কিন্তু চামড়ার জুতা রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। সরকার নানাভাবে পাটপণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা দিলেও ইতিবাচক অগ্রগতি নেই এই খাতে। সব মিলিয়ে পাট খাতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬.৬৬ শতাংশ কম। তবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে হোম টেক্সটাইল খাত। এ খাতে আয় হয়েছে প্রায় ৪১ কোটি ডলার। হিমায়িত খাদ্যও মোটামুটি ভালো করেছে। এ খাতে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার আয় হয়েছে, আগের বছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে সার্বিকভাবে কৃষিপণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি ৬৬.৮ শতাংশ। প্লাস্টিকে আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১.২৫ শতাংশ। সিরামিকে আয় হয়েছে পাঁচ কোটি ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫৮ শতাংশ।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ৯:০১:২৩ ● ৪৭৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ