
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। মনোনয়নপত্রে তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে তার মোট সম্পদ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা উল্লেখ করেছেন। তার স্ত্রী মারিয়া আক্তারের মোট সম্পদ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা, পেশা শিক্ষিকা।
হলফনামা অনুযায়ী, নুরুল হক নুরের ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৬ টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ টাকা। মোট বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ৪৮ টাকা। স্ত্রী মারিয়া আক্তারের বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮০ টাকা।
সম্পদের বিবরণীতে নগদ অর্থ নুরের নামে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ২১৭ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩০ হাজার ৯৪১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নুরের জমাকৃত অর্থ ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৩ টাকা, স্ত্রীর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৭ টাকা। কোম্পানি শেয়ারে বিনিয়োগ ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আসবাবপত্রে স্ত্রীর নামে ১ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অন্যান্য আমানত ৫৫ লাখ ৮০ হাজার ৩১১ টাকা। গহনার কোনো বিবরণ নেই।
ভূমি সম্পদের হিসাবে নুরের নামে ৮২ ডেসিমেল কৃষিজমি, অর্জনকালীন মূল্য ৬২ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ৩ একর কৃষিজমি, মূল্য ১০ লাখ টাকা। দায় হিসেবে নুরের নামে পাওনাদারের কাছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৬০ টাকা দেনা রয়েছে। পরিবারের কেউ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করেননি।
বর্তমানে নুরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে ৬টি মামলা চলমান। এর মধ্যে কয়েকটি তদন্তাধীন, কয়েকটিতে তিনি এজাহারভুক্ত ও অভিযুক্ত। পূর্বে ৮টি মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। নুর ও তার স্ত্রী দুজনই আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন।
পারিবারিক তথ্য অনুযায়ী, নুরুল হক নুরের তিন সন্তান রয়েছে- দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এছাড়া তার ওপর নির্ভরশীল পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের কথাও উল্লেখ আছে।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৯ ডিসেম্বর। আসনটিতে নুরুল হক নুরের সঙ্গে সমঝোতা থাকায় বিএনপি দলীয় প্রার্থী দেয়নি। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য হাসান মামুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গণঅধিকার পরিষদের আরেক প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ফাহিমও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল করা যাবে ৫–৯ জানুয়ারি, নিষ্পত্তি ১০-১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।