
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বরগুনা
হালাল রিজিকের গুরুত্ব ও হারাম সুদের ভয়াবহতা নিয়ে ছারছীনা শরীফের পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন (মা. জি. আ.) মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, হালাল খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ইবাদত কবুল হওয়ার পথ সুগম হয়। পক্ষান্তরে হারাম উপার্জনের কারণে আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
পীর ছাহেব আরও বলেন, সুদ গ্রহণ ও প্রদানে চার শ্রেণীর ব্যক্তির ওপর রাসুলে পাক (সাঃ) অভিশাপের কথা উল্লেখ করেছেন- সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদের সাক্ষী ও সুদ লিপিবদ্ধকারী। যদিও কোন ব্যক্তি বিপদের কারণে বিকল্প খাদ্য গ্রহণ করতে পারে, সুদের উপার্জন কখনো বৈধ হবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, বর্তমান সময়ে কিছু নামধারী আলেম হারাম সুদকে হালাল হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করছে, যা থেকে প্রতিটি মুমিন মুসলমানকে সাবধান হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকিং ও লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তবে তা অবশ্যই শরীয়তের বৈধতার আলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহ বরগুনা জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় টাউন হল ময়দানে আয়োজিত ঈছালে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির আলোচনায় পীর ছাহেব এসব কথা বলেন।
ওইদিন বাদ আছর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলা মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, নায়েবে আমীর ও বরিশালের ঐতিহ্যবাহী জামে এবাদুল্লাহ মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা মির্জা নূরুর রহমান বেগ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেমায়েত বিন তৈয়্যেব, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারীয়া দ্বীনিয়ার নায়েবে মুদীর মাওলানা মোঃ মামুনুল হক এবং পীর ছাহেব কেবলার সফরসঙ্গী মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ আল মাহমুদ।