
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বাগেরহাট
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সোমবার (১ ডিসেম্বর) জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উদযাপন করেছে। বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, এই বন্দর প্রায় লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্কার সৃষ্টি করেছে এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিকল্পিত হয়েছে।
দিবসটি পালনে সকালেই বন্দরের সদর দপ্তর থেকে জেটি ফটক পর্যন্ত র্যালি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহীন রহমান। এ সময় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদযাপন অনুষ্ঠানে বন্দরের কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অবদানের জন্য ৮ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়া বন্দর ব্যবহারকারি ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন; কিন্তু ১ কোটি ৪ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৭.২৫% বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার TEU; বন্দরে ২১,৪৫৬ TEU হ্যান্ডলিং হয়েছে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৩৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা; অর্জিত হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নীট মুনাফা লক্ষ্যমাত্রা ২০ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা, কিন্তু অর্জিত হয়েছে ৬২ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০৩.৪৯% বেশি।
চেয়ারম্যান শাহীন রহমান জানান, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ফলে প্রতি ঘন্টায় ২৪টিরও বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এবং একসাথে ৫টি জেটিতে ৫টি জাহাজ হ্যান্ডলিং সম্ভব হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবাহে মোংলা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে; খাদ্যশস্য, সিমেন্ট, সার, মোটরগাড়ি, মেশিনারিজ, চাল, গম, কয়লা, তেল, ভুট্টা, এলপিজি গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও সাদামাছ, চিংড়ি, পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, কাপড় ও জেনারেল কার্গো রপ্তানিতে বিশেষ অবদান রাখছে।