প্রবাসী নারীও পেয়েছেন ঘর! দুমকিতে আশ্রায়ণ পল্লীতে ঘর বরাদ্দে অনিয়ম

হোম পেজ » পটুয়াখালী » প্রবাসী নারীও পেয়েছেন ঘর! দুমকিতে আশ্রায়ণ পল্লীতে ঘর বরাদ্দে অনিয়ম
শনিবার ● ১৫ নভেম্বর ২০২৫


দুমকিতে আশ্রায়ন পল্লীতে ঘর বরাদ্দে অনিয়ম

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দুমকিতে মুজিব বর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ নিয়ে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসে থাকা এক নারী ঘর পেয়েছেন, আবার বরাদ্দ পাওয়া বহু পরিবার ঘরে না থাকায় তালা ঝুলিয়ে দখলে রেখেছেন। কেউ কেউ ঘর বিক্রি করে চলে গেছেন, আবার বরাদ্দ ছাড়া অন্যের ঘর দখলের ঘটনাও মিলছে। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলা এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৩০টি ঘর নির্মাণ হয়। এর মধ্যে ১৬ নম্বর ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয় বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী শিল্পী বেগমের নামে। স্থানীয়দের দাবি, শিল্পী বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় কখনো ঘরে থাকেননি; তার মা মাঝে মাঝে এসে ঘরটি দখলে রাখেন।
মুরাদিয়া ইউনিয়নের ইউসুফ গাজীর ছেলে কালাম গাজীও বরাদ্দ পান ২ নম্বর ঘর। তিনিও ঘরে না থেকেও দীর্ঘদিন ধরে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার আলগী গ্রামের মোতালেবের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠে। তার নামে একটি ঘর বরাদ্দ হলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর ঘরটি তার চাচাতো শালীর কাছে অর্থের বিনিময়ে দিয়েছেন বলে দাবি মোতালেবের।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আবু জাফর জানান, রিয়াজ নামে এক ব্যক্তির নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু তিনি বেল্লাল নামে একজনের কাছে ঘর বিক্রি করে চলে গেছেন। তার ভাষ্যে, কয়েকজন ব্যক্তি বরাদ্দ না থাকলেও ঘরে বসবাস করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকৃত ভূমিহীনরা ঘর না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন, অথচ যারা অসচ্ছল নন বা মালিকানাধীন জমি আছে-তারাই ঘর দখলে রেখেছেন। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, অসচ্ছল নন, জায়গাজমি আছে বা অবৈধভাবে কেউ ঘর দখল করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২১:১৯ ● ৩৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ