দুমকিতে চোর-পুলিশের খেলা, থামছে না মা-ইলিশ নিধন

হোম পেজ » পটুয়াখালী » দুমকিতে চোর-পুলিশের খেলা, থামছে না মা-ইলিশ নিধন
শুক্রবার ● ১০ অক্টোবর ২০২৫


দুমকিতে চোর-পুলিশের খেলা, থামছে না মা-ইলিশ নিধন

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর দুমকিতে চলছে অবাধে মা-ইলিশ শিকার। পায়রা, লোহালিয়া ও পান্ডব নদীতে শত শত নৌকা-ট্রলারে দিনরাত চলছে ইলিশ আহরণ। মৎস্য বিভাগের অভিযান সত্ত্বেও জেলেদের বেপরোয়া তৎপরতা থামছে না। অভিযান দল নদীতে নামলেই শুরু হয় চোর-পুলিশের খেলা।
শুক্রবার সকালে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকার পায়রা–পাতাবুনিয়া মোহনায় দেখা যায়, অভিযান টিমের সামনে-পেছনে জাল ফেলে ইলিশ শিকার করছে জেলেরা। ধাওয়া দিলে দ্রুতগতির ইঞ্জিনচালিত পাতলা নৌকায় তীরে উঠে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যায় তারা। অভিযান শেষ হতেই ফের বিকল্প নৌকা-জাল নিয়ে নদীতে নামে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঙ্গাশিয়া, রাজগঞ্জ, হাজিরহাট, পশ্চিম লেবুখালী, আঙ্গারিয়া, বাহেরচর, জলিশা, চরগরবদি ও কলাগাছিয়া স্পটে প্রতিদিন শত শত ট্রলারে মা–ইলিশ নিধন চলছে।
মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৮টি নৌকা ও ১লাখ ১৩ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮ জন জেলেকে কারাদন্ড ও জরিমানা করা হয়। এসব দন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মো. এজাজুল হক।
উপজেলা মৎস্য অফিসের ফিল্ড অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, মৎস্য অফিস ও থানা পুলিশ যৌথভাবে প্রতিদিন ২টি টিম নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তবুও জেলেরা কৌশলে নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযান দলের সময়সূচি আগেভাগে জানায় জেলেরা নির্ভয়ে অন্য সময়ে নদীতে নামে।
নিষিদ্ধ সময়ে স্থানীয় বাজারে ইলিশ বিক্রি না হলেও মওজুদ করার অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের অভিযান শেষে নদীজুড়ে চলে চোর–পুলিশের খেলা, ফলে প্রকৃত প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, অভিযান আরও জোরদার ও টহল বাড়ানো হবে। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, বিকল্প জীবিকা নিশ্চিত না হলে ইলিশ শিকার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়।

 

 

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৭:৩১ ● ৪৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ