তালতলীতে ভুয়া কাবিনে বিয়ে, ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার নারী

হোম পেজ » বরগুনা » তালতলীতে ভুয়া কাবিনে বিয়ে, ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার নারী
বৃহস্পতিবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৫


তালতলীতে ভুয়া কাবিনে বিয়ে, ছয় মাসে নির্যাতনের শিকার নারী

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভুয়া কাবিনে বিয়ে করে ছয় মাস সংসার করার পর এক নারীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, এ বছরের জানুয়ারিতে কাজের জন্য তিনি ইউনিয়ন পরিষদে গেলে উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন কৌশলে তার মোবাইল নম্বর নেন এবং পরে ফেসবুক আইডি হ্যাক করে যোগাযোগ স্থাপন করেন। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুয়াকাটায় নিয়ে ভুয়া কাবিননামায় বিয়ে করেন এবং ছয় মাস ধরে তালতলী বাজারে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন। সম্প্রতি নানা অজুহাতে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তিনি ফিরে আসলে মহিউদ্দিনের দুই স্ত্রী মিলে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, মহিউদ্দিন ভুয়া কাবিনে বিয়ে করে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। ছয় মাস সংসার করার পর এখন তার আগের দুই স্ত্রী আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি তার বিচার চাই।

তার মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে মহিউদ্দিন। আমি তার কঠোর শাস্তি চাই।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, মহিউদ্দিন উদ্যোক্তা পরিচয়ে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং এর আগেও দুটি বিয়ে করেছেন। তারা তার চাকরিচ্যুতি ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তা অফিস থেকে জানানো হয়, মহিউদ্দিন এখন বাইরে আছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম পনুর ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, অভিযোগ পেলে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৮:৪৪ ● ৬৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ