
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, দুমকি (পটুয়াখালী)॥
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে পায়রা নদীর আকস্মিক ভাঙনে চার পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক পরিবার।
গত মঙ্গলবার রাতে জাকির হাওলাদার, কুদ্দুস ফকির, আলেয়া বেগম ও লাভলী বেগমের বসতভিটা নদীতে তলিয়ে যায়। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও ১৫-২০টি পরিবার। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর স্রোতের তীব্রতায় নতুন ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা ও কবরস্থান নদীতে বিলীন হয়েছে। সহায়-সম্বলহারা পরিবারগুলো এখন ওয়াপদা ভেড়িবাঁধের পাশে ঝুপড়ি তুলে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত পাঁচ-ছয় বছরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার নদীভাঙনে ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারালেও সরকারি বা জনপ্রতিনিধিদের কোনো সহায়তা পায়নি।
আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান বলেন, বাহেরচর গ্রামটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা ও ভবিষ্যতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. এজাজুল হক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, সহযোগিতা দেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ভাঙন এলাকাজুড়ে চলমান মেন্টেনেন্স কাজ যথেষ্ট নয়। ভাঙনরোধে নতুন প্রকল্পের জন্য সমীক্ষা অনুমোদন হয়েছে, শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
এমআর