
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুমিল্লা
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় চারটি মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২২শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। হোমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে মামলা করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মীয় কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ জনতা ওই দিন থানার সামনে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যুবককে গ্রেপ্তার করে। বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম পৃথকভাবে মামলা দায়ের করেন। পরদিন আদালতে তাকে সোপর্দ করা হয়।
ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা আছাদপুর গ্রামের কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে অগ্নিসংযোগ করে। একই সঙ্গে কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে আছাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মামলা ও গ্রেপ্তারের আতঙ্কে গ্রামটি প্রায় পুরুষশূন্য।