
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, জাবি ক্যাম্পাস
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাকসুর ২৫টি পদে লড়ছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ১০২ জন ছাত্র এবং ৫ হাজার ৮১৭ জন ছাত্রী। ভোট হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে। ২১টি হলে ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। দায়িত্ব পালন করছেন ২১ জন রিটার্নিং অফিসার, ৬৭ জন পোলিং অফিসার ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং অফিসার।
ভোটের নিরাপত্তায় গড়ে তোলা হয়েছে ব্যাপক ব্যবস্থা। ক্যাম্পাসজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আজ ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ১৮শ সদস্যের পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রার্থীদের দুইজন করে পোলিং এজেন্ট রাখা হয়েছে। এছাড়া জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি টিম, প্রক্টরিয়াল বডি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দায়িত্বে রয়েছেন। দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও মাঠে আছেন।
এর আগে বুধবার রাতেই প্রতিটি কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। রাতভর নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখতে আসেন উপাচার্যসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে বুধবার রাত দশটার দিকে ছাত্রদল, বাগছাস ও বামজোট (সংশপ্তক পর্ষদ) এর প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে ওএমআর পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানান। তারা ম্যানুয়াল ভোট গণনার আহ্বান জানান। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। দীর্ঘ বিরতির পর হওয়া এ নির্বাচন ঘিরে ভোটাররা উচ্ছ্বসিত এবং প্রার্থীরাও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন।