
মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবার পুনর্বাসিত হলেও সাত বছর পার হলেও মালিকানার দলিল হাতে পায়নি তারা।
১৩০ পরিবারের প্রায় ৮০ পরিবার কাজের সন্ধানে পল্লী ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। যারা এখনো আছে, তারা ঘর ভাঙা, পানিবন্দি, নলকূপ শুকনো ও মশার উপদ্রবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বৃষ্টিতে ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, রাস্তা ডুবে যায়। পুকুর পাড় ভেঙে গেছে। ৪৮টি নলকূপের মধ্যে অধিকাংশ পানিবিহীন। পানি তোলার নলকূপগুলো অকার্যকর, শুকনো মৌসুমে খাবার-ব্যবহারের পানি সংগ্রহে কঠোর চ্যালেঞ্জ। ঘরগুলো নির্মাণে নিম্নমানের বালি ব্যবহার করা হয়েছে, অনেক ঘরে ফাটল ও ইট খুলে পড়েছে। ২০১৫ সালে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা ন্যায্য হয়নি। জমির দাম ছিল এক শতক ২০ হাজার টাকা, ক্ষতিপূরণ ৫৬০০-৫৮০০ টাকা, এখন দাম বেড়ে কমপক্ষে ৩৩ হাজার টাকা। পুনর্বাসন এলাকায় এখনও চারটি দোকানঘর হস্তান্তর হয়নি, কাঁচা বাজারও চালু হয়নি। বাতিল আশ্বাসে কর্মসংস্থানের সুযোগ মেলেনি, বিদ্যুৎ প্লান্টে কেউ কাজ পায়নি। ৪০ পরিবার শ্রমজীবী হয়ে অন্যত্র চলে গেছে, যারা রয়েছেন তারা হতাশ।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শহীদ উল্ল্যাহ ভুঁইয়া বলেন, দলিল হস্তান্তরের কাজ চলছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত দলিল দেওয়া হবে। পুনর্বাসন কমিটি ও পাওয়ার প্লান্ট কমিটির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চলছে।