
হোসাইন আলী কাজী, আমতলী থেকে (বরগুনা)
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে খানাখন্দে যান চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত দেড় মাসের অবিরাম বৃষ্টিতে ৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সারা দেশের সঙ্গে সড়ক পথে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার যোগাযোগের একমাত্র সড়কটির এমন অবস্থা নিয়ে খোদ পর্যটকরাই ক্ষোভ জানিয়েছেন। সেই সাথে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১০ লাখ মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সড়কটিতে যাতায়াতে।
প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পিচ উঠে গিয়ে একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এতে ঘন ঘন ঘটছে দুর্ঘটনা। চালকেরা স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। দ্রুত সংস্কারের দাবি ভুক্তভোগীদের।
সড়কটি নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০০০ সালে। নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ছিল শুরু থেকেই। ২০১৮ সালে কিছু অংশে দায়সারা সংস্কার হলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে সড়ক ব্যবহারকারীদের।
সড়কের টোল ইনচার্জ মো. আল-আমিন জানান, প্রতিদিন গড়ে ৯ শতাধিক বৈধ যানবাহন চলাচল করে। এর বাইরে মাহেন্দ্র, ট্রলি, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত গাড়ির সংখ্যাও অনেক।
আমতলী চৌরাস্তা, মানিকঝুড়ি, শাখারিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, সাহেববাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে ডজনখানেক খানাখন্দ রয়েছে। প্রায় প্রতি ৫০ গজ পরপরই গর্ত।
যাত্রী মো. জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন, দুই ঘণ্টার পথ এখন যেতে সময় লাগছে সাড়ে তিন ঘণ্টা। সময় নষ্টের পাশাপাশি ঝুঁকিও বাড়ছে।
বাস চালক কেরামত আলী বলেন, গর্তের কারণে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। স্টিয়ারিং ঘোরানো কঠিন হয়ে যায়।
ট্রান্সপোর্ট মালিক ও যাত্রীদের ভাষ্য, মহাসড়কের এই বেহাল দশায় যাত্রী সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কমারেশ বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে মোবাইল টিম দিয়ে খানাখন্দ মেরামত করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে পুরোদমে সংস্কার শুরু হবে।