রাঙ্গাবালীতে জমি বিক্রি করে প্রতারণার শিকার

হোম পেজ » পটুয়াখালী » রাঙ্গাবালীতে জমি বিক্রি করে প্রতারণার শিকার
মঙ্গলবার ● ১ জুলাই ২০২৫


 

প্রতারণার শিকার হওয়া পরিবারের সদস্যরা

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, গলাচিপা (পটুয়াখালী)

 

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেস্টিন গ্রামের বাসিন্দা স্মৃতি রানী দাস অভিযোগ করেছেন, রেকর্ডীয় জমি বিক্রি করে ক্রেতা মাসুদ পন্ডিতের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। এ ঘটনায় চিকিৎসা খরচ জোগাড় করতেও চরম সংকটে পড়েছেন তারা।

 

স্মৃতি রানী দাস জানান, গত মে মাসে গলাচিপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে মৌজা–পূর্ব চর রুস্তম, জেএল নম্বর–১৪৯, খতিয়ান নম্বর–২৫/৬৮৪, দাগ নম্বর–৫৯১, ৬৮৬ ও ৬৮৭ এর আওতায় ২০ কড়া জমি মাসুদ পন্ডিতের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। জমির মূল্য বাবদ ১ লাখ টাকা এখনো মাসুদের কাছে পাওনা রয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু মাসুদ পন্ডিত দীর্ঘদিন ধরে ‘দিচ্ছি দিচ্ছি’ বলে ঘুরাচ্ছেন।

 

তিনি বলেন, “এই টাকা আমাদের জন্য খুব জরুরি। আমার বড় ভাই পরিমল দাস গুরুতর অসুস্থ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।”

 

স্মৃতি রানী আরও জানান, জমি বিক্রির আগেই একই জমি স্থানীয় আউয়াল আকনের কাছে কটকবলা হিসেবে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে জমি বিক্রির সময় মাসুদ পন্ডিত একটি লিখিত কাগজে সাক্ষর দিয়ে সেই টাকা আউয়ালকে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন এবং নিজে টাকা বুঝে নেন। কিন্তু মাসুদ ওই টাকা আউয়ালকে না দিয়ে নিজের ব্যবসায়ে খরচ করেন বলে অভিযোগ।

 

এ বিষয়ে আউয়াল আকন বলেন, “স্মৃতি রানী ও তার ভাই আমার কাছ থেকে কটকবলা হিসেবে টাকা নিয়েছেন। আমি টাকা পেলে জমি ছেড়ে দেব।”

 

অসুস্থ পরিমল দাস বলেন, “টাকা পেলে চিকিৎসা করাতে পারতাম, এখন বাড়িতে ধুকে ধুকে মরছি। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু সমাধানের অনুরোধ জানাচ্ছি।”

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৭:৩৪ ● ৫৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ