পটুয়াখালীতে নিম্নচাপের প্রভাব উপকূলের বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীতে নিম্নচাপের প্রভাব উপকূলের বিপর্যস্ত জনজীবন
সোমবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০২১


পটুয়াখালীতে নিম্নচাপের প্রভাব উপকূলের বিপর্যস্ত জনজীবন

পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

নিম্নচাপের প্রভাবে তিন দিন ধরে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃস্টি হলেও রবিার সকাল থেকে পটুয়াখালীর বিস্তীর্ন জনপদ জুড়ে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বাড়ায় বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল হয়ে আছে। গত তিন দিনেও এ জনপদে দেখা মেলেনি সূর্যের। এরফলে বয়ে চলা হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এদিকে রবিবার সকাল নয়টা থেকে সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নি¤œ আয়ের শ্রমজীবিসহ কর্মজীবি মানুষ। স্বাভাবিক কর্মে স্থবিরতা নেমে শহর থেকে গ্রামীন জনপদে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পড়েছে এর প্রভাব। সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা কয়েক হাজার পর্যটক কার্যত হয়ে পড়েছেন হোটেল বন্ধী। দর্শনীয় স্থান ভ্রমন না করেই অনেক পর্যটক বাড়ী ফিরে গেছেন। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারনে আনেক পর্যটক তাদের আগাম বুকিং বাতিল করেছেন। বেশ কিছু অবস্থানের জন্য যেসব পর্যটন এসেছিলেন তারা অনেকেই প্রোগ্রাম বাতিল করে ফিরে গেছেন।

নি¤œচাপের প্রভাবে হঠাৎ করেই টানা বৃস্টির প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। অনেক কৃষকের পাকা আমন ধান ক্ষেতেই নস্ট হওয়ার শংকা দেখা দিয়েছে। চাষকৃত রবিশষ্য এবং মৌসুমী সবজি ক্ষতির শংকা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে আগাম তরমুজ চাষীরা। তরমুজ চাষীরা জানায়, টানা বৃস্টির কারনে সদ্য চাষকৃত ক্ষেতে বপনকৃত বীজ নস্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। পোকার আক্রমন বেড়ে যাওয়ার শংকা করছে কৃষি বিভাগ। এর আক্রমনে ফসলের পুনরায় ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

রবিবার সন্ধ্যা ছয়টায় নি¤œচাপটি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিনপশ্চিমে অবস্থান করছিলো। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সকল মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

জেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৯:৫৪ ● ১৯৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ