দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে

প্রথম পাতা » আবহাওয়া » দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে
বৃহস্পতিবার ● ১৭ জানুয়ারী ২০১৯


---

সাগরকন্যা এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন॥
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। শুধু অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) ২০১৮ সালে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রস্তাব এসেছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী কারখানা স্থাপন শুরু করেছে। আর বেসরকারি ৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কারখানা উৎপাদন শুরু করেছে। ইতিমধ্যে জাপানের হোন্ডা মোটর কোম্পানি ও বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (বিএসইসি) যৌথভাবে মোটরসাইকেল কারখানা স্থাপন করেছে। বে ইকোনমিক জোনে চীনা প্রতিষ্ঠান মেইগোর বিনিয়োগে স্থাপিত হয়েছে খেলনা তৈরির কারখানা। মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সিআইসি গ্রুপ দুটি কারখানা স্থাপন করছে। বেজা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত বছর সরকারি ৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০ বিদেশি কোম্পানি ৪৩ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা বিনিয়োগে বেজার সঙ্গে চুক্তি করেছে। ইতিমধ্যে বেশি বিনিয়োগের চুক্তি হয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগরীতে। ওই শিল্প নগরীতে বিদেশি চুক্তি হয়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকার। তার পর সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে মহেশখালীতে। সেখানে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে দুটি প্রতিষ্ঠান। মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।
সূত্র জানায়, সরকার বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা বিশেষতঃ পশ্চাৎপদ অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়। এর মাধ্যমে ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) ডেভেলপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চীন, জাপান ও ভারতের সঙ্গে জিটুজি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণসহ অফ-সাইট অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ৩টি ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য অফ-সাইট অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ১৮টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। তার মধ্যে ৭টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে। তার মাধ্যমে ১৭ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে বেজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, সাধারণত নির্বাচনী বছরে বিনিয়োগ স্থবিরতা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু গেল বছর নির্বাচনের বছর হলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এসেছেন। অনেক বড় বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। বিনিয়োগ চুক্তিগুলো আগামী কয়েক বছরে বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ৭:৫৭:১৩ ● ৯৩৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ