
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, ছাতক (সুনামগঞ্জ)
ছাতকে এক নারী চিকিৎসক ও একটি ফার্মেসির বিরুদ্ধে হয়রানি, সিরিয়াল বাণিজ্য এবং আর্থিকভাবে শোষণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সোমবার (৩০ জুন) ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় শিক্ষানবিশ আইনজীবী সানী দাস।
অভিযোগে বলা হয়, ছাতক ট্রাফিক পয়েন্টে অবস্থিত নীপা ফার্মেসি এবং সেখানে রোগী দেখা চিকিৎসক ডা. ফাতেমাতুজ জোহরার মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। ৪ এপ্রিল এক রোগীর সিরিয়াল নিতে গিয়ে সানী দাস ৩৫ নম্বর সিরিয়াল পান। টাকা দিলে তাকে আগে সিরিয়াল পাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ২১ নম্বর সিরিয়াল সংগ্রহ করেন এবং বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
পরে ফার্মেসিতে গেলে তাকে গালাগাল ও শারীরিকভাবে হেনস্তার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ফার্মেসির মালিকের ছেলে সরকারি কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিকের নাম ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া হয়। এতে সানী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সানী দাবি করেন, এটি একক ঘটনা নয়। কাওসার, শওকত আহমেদ, মো. লিটন, তন্ময় দেবসহ আরও অনেকে নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নির্ধারিত ফির বাইরে টাকা আদায়, সিরিয়াল বাণিজ্য, দুর্ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে জোর করে ওষুধ কেনানো নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. ফাতেমাতুজ জোহরা জানান, তিনি প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীদের সেবা দেন এবং ফার্মেসির সিরিয়ালের বিষয়ে অবগত নন। তিনি আরও বলেন, ভালোবাসার টানেই ছাতকে চেম্বার করেন।
ফার্মেসির মালিককে পাওয়া না গেলেও কর্মচারী তুষার বলেন, “দূর থেকে আসা রোগীদের জন্য কিছু সিরিয়াল রাখতে হয়। কেউ এটাকে টিকেট সিন্ডিকেট মনে করলে, সেটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি।”
ছাতক বাজার ফার্মেসি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিটন দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত আরেফিন বলেন, “চিকিৎসক অফিস সময়ের পর চেম্বার করলে কিছু বলার নেই, তবে অভিযোগ থাকলে ইউএনও বরাবর জানানো যেতে পারে।”
ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।