চর বলেশ্বর গ্রামে রাতের আঁধারে নৃশংস হামলাইন্দুরকানিতে ইউপি সদস্য ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে

হোম পেজ » পিরোজপুর » চর বলেশ্বর গ্রামে রাতের আঁধারে নৃশংস হামলাইন্দুরকানিতে ইউপি সদস্য ও ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে
শনিবার ● ২৮ জুন ২০২৫


---

✍ সাগরকন্যা প্রতিবেদক, পিরোজপুর

 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার চর বলেশ্বর গ্রামে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) ও তার ভাবি মুকুলী বেগম (৪৮) নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় শহিদুলের স্ত্রী রেহানা বেগম (৪২) গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে চর বলেশ্বর গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় হামলার শিকার হন তারা। কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র হাতে বাড়িতে ঢুকে প্রথমে শহিদুল ও তার স্ত্রী রেহানাকে কোপাতে থাকে। হামলার মধ্যে পড়েন তার ভাবি মুকুলী বেগমও। ভোররাতে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে ছুটে এসে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ইন্দুরকানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুল ও মুকুলীকে মৃত ঘোষণা করেন। রেহানাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হত্যার পেছনে কি ছিলো?

এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারণা, পারিবারিক বিরোধ ও জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধ থেকে এই হামলা হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সামাজিকভাবে বিতর্কিত এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারে বিবাদ চলছিল।

নিহত শহিদুল ইসলাম স্থানীয় চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং এলাকায় একজন শান্তিপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

এলাকায় উত্তেজনা, বাড়তি পুলিশ মোতায়েন

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুরো চর বলেশ্বর গ্রামজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

এলাকাবাসীর দাবি

নিহত শহিদুলের প্রতিবেশীরা জানান, তিনি সদালাপী ও সজ্জন মানুষ ছিলেন। তারা এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।

 

সন্দেহভাজন ও তদন্ত

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রাথমিক তদন্তে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে ইউনুস, রফিকুল ও তাদের সহযোগীদের নাম উঠে এসেছে। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।”

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৬:২৩ ● ৮৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ