আমতলীতে ওরশ মাহফিল থেকে ধরে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে ওরশ মাহফিল থেকে ধরে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ!
মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০১৯


প্রতীকী ছবি

আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার ছলিমাবাদ দরবার শরীফের ওরশ মাহফিল থেকে এক কিশোরীকে (১৫) ধরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার আমতলী থানায় ধর্ষক ইয়ামিন মৃধাসহ তিন জনের নামে মামলা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা গোজখালী গ্রামে ছলিমাবাদ দরবার শরীফের ওরশ মাহফিল  সোমবার রাতে শুরু হয়। ওই ওরশ মাহফিলে খেকুয়ানী গ্রামের জালাল ফরাজী চায়ের দোকান দেন। বাবাকে সহযোগীতা করার জন্য তার কিশোরী কন্যা ওই ওরশ মাহফিলে যায়। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ওই কিশোরী ওরশ মাহফিল ময়দানে যাওয়ার পথে ইয়ামিন মৃধা ও তার সহযোগী রুবেল ও হৃদয় তাকে জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী নির্জন এলাকায় নিয়ে কিশোরীকে রুবেল ও হৃদয়ের সহযোগীতায় ইয়ামিন মৃধা ধর্ষণ করে বলে জানান কিশোরী। কিশোরীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীকে উদ্ধার করে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম হাওলাদারের জিম্মায় রাখে। মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরীকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ শানু মিয়ার কাছে হস্তান্তর করেন সেলিম। খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে আমতলী থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ইয়ামিন মৃধাকে প্রধান আসামী করে তিন জনের নামে কিশোরীর বাবা জালাল ফরাজী বাদী হয়ে আমতলী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম হাওলাদার জানান, কিশোরীর ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীকে উদ্ধার করে আমার  কাছে রেখে যায়। মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরীকে শানু চৌকিদারের কাছে দিয়েছি।
ধর্ষিতা কিশোরী জানায়, ওরশ মাহফিলের ময়দানের দিকে যাওয়ার পথে তিনজনে আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। পরে দু’জনের সহযোগীতায় ইয়ামিন মৃধা আমাকে ধর্ষণ করেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫০:০৬ ● ৯৭০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ