নির্যাতিত ও নিপীড়িত বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পাতা » জাতীয় » নির্যাতিত ও নিপীড়িত বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী
সোমবার ● ১৮ মার্চ ২০১৯


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
নির্যাতিত ও নিপীড়িত বাঙালির মনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা সৃষ্টি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাঙালি জাতি নির্যাতন আর নিপীড়ন সইতে সইতে তারা ভুলেই গিয়েছিলো তাদের অধিকারের কথা। বঙ্গবন্ধু তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি আন্দোলনের জন্য জেলে গেছেন। তিনি নির্যাতিত বাঙালির মনে স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা সৃষ্টি করেছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অজপাড়াগাঁয়ের সেই ছোট্ট শিশুটির নাম এখন বিশ্বেজুড়ে সমাদৃত। তিনি একটি জাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন। যে বাংলাদেশের মানুষ একবেলা খাদ্য জোগাড় করতে পারতো না। উল্টো নির্যাতিত হতো। এ নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগও ছিলো না। তাদের মনে ছিলো এটাই বোধহয় আল্লাহর বিধান। জাতির পিতা সেই মানুষগুলোর মধ্যে ধীরে ধীরে সাহস দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মতো একটি যুদ্ধ করার মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছিলেন। শোষণ বঞ্চনা থেকে জাতিকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনেও তার অনেক অবদান। কিন্তু এটা অনেকেই স্বীকার করেননি। ৪৮ (১৯৪৮) সালে ভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়েই বারবার গ্রেফতার হয়েছেন তিনি, জেলে গেছেন। ৪৯ সালে গ্রেফতার হন। বায়ান্ন সালে গুলি চললো, ভাষা শহীদরা প্রাণ দিলেন। অনেকেই এ আন্দোলনকে সেখানেই থামিয়ে দেয়। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে জাতির পিতা সেই আন্দোলন আবারও চালাতে থাকে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আন্দোলন চালিয়েছিলেন। কিন্তু ইতিহাস থেকে এইসব তথ্য মুছে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দারা ওই সময় তার (বঙ্গবন্ধু) বিরুদ্ধে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছিল-১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো সংগ্রহ করি। সেখান থেকেই এসব জেনেছি। আমরা সেসব রিপোর্ট থেকে এরইমধ্যে প্রকাশ করতে শুরু করেছি।

এফএন/কেএস  

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৬:১৭ ● ৩৮৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ