আমতলীতে কমেনি আলু, পিয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে কমেনি আলু, পিয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম!
শনিবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩


আমতলীতে কমেনি আলু, পিয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

সরক্রাী নির্দেশনা উপেক্ষা করে আমতলীতে চড়া মুল্যে বিক্রি করছে আলু, পিয়াজ, ডিম ও সয়াবিন তেল। এতে ক্রেতাদের মঝ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন চড়ামুল্যে পণ্য বিক্রির বিষয়ে দেখেও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। দ্রুত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ক্রেতারা। জাতীয় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,বরগুনার সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ^াস অভিযান অব্যাহতের কথা বললেও বাস্তবে নেই।
জানাগেছে, সরকার বৃহস্পতিবার রাতে নির্ধরিত করে দেয় আলু, পিয়াজ ও সয়াবিন তেল ও ডিমের দাম। কিন্তু সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফায় বেশী দামে এ সকল পন্য বিক্রি করছেন। অভিযোগ রয়েছে, অসাধ্য ব্যবসায়ীরা পন্য মজুদ করে কৃক্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছেন। বেশী দামে বিক্রি করলেও উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বরগুনা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা এ সুযোগে সরকারী নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে বেশী মুনাফায় বিক্রি করছেন।
শুক্রবার আমতলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা আলুর কেজি ৪৫-৫০, পিয়াজ ৭০- ৮০ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮০ ও সুপার সয়াবিন তেল ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশী দামে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের বেশী দামে পন্য কেনা তাই বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। তা ছাড়া উত্তারাঞ্চল থেকে পন্য আসছেনা, তাই বাজারে পন্যের সংঙ্কট দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম ও সুমন মুন্সি বলেন, বেশী দামে পন্য কেনা তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।  সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, সুপার সয়াবিন ১৫৫-১৬০ টাকা ও আলুর কেজি ৪৫-৫০ টাকা এবং পিয়াজ ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
ক্রেতা জুয়েল, কবির ও সাখাওয়াত বলেন, সরকার দাম কমালেও ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছে না। আলুর কেজি ৫০ টাকা, পিয়াজের কেজি ৮০ টাকা ও সয়াবিন তেল ১৮০ টাকায় ক্রয় করেছি। সরকারী ভাবে পন্যের দামের প্রভাব বাজারে পরেনি। তারা আরো বলেন, প্রশাসন এগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে। তারা ব্যবস্থা নিলে অবশ্যই ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মুল্যে পন্যে বিক্রি করতে বাধ্য হতো। দ্রুত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।  তারা আরো বলেন, সরকারী ভাবে পন্যের দাম কমানোর সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরগুনা, সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ^াস বলেন,  সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে কেউ বেশী মুল্যে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।

 

 

 

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৮:১৫ ● ১১৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ