দুমকিতে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত জাকির মাষ্টারের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন!
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
দুমকিতে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত জাকির মাষ্টারের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন!
দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দুমকিতে কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মায়ের আত্মহত্যা, ছেলের নামে মিথ্যে মামলা ও নবজাতক হত্যার প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদী ফেরীঘাট সংলগ্ন মহাসড়কে ৫ শতাধিক নারী পুরুষ ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদী এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো: মজিবুর মুন্সি তার বক্তব্যে বলেন, আমার ছোট ছেলে মো: জাকারিয়া(২২) ও মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন ও শাহনাজ বেগম দম্পতির কন্যা দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইয়ের সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল হঠাৎ ছেলেমেয়ে উভয় সম্মতিতে বিয়ে করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির হোসেন ছেলেসহ আমার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়েরসহ দফায় দফায় হামলা নির্যাতন চালায়। চলতি মাসের (১০মে) আমার বাড়ি থেকে পুলিশ জাকারিয়াকে গ্রেফতার ও গর্ভবতী অবস্থায় ছেলর বউ জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে ধরে নেয়ার সময় তার খালাতো ভাই মো: হাসিব জুইকে টানা হেচড়া করলে তাত্ক্ষণিক জুই অসুস্থ হয়ে পরেন। পরে জুইকে নিয়ে মেডিকেলে সিজার করালে গর্ভের বাচ্চা অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং ঐ দিনই রাতে আমার নাতীর মৃত্যু হয়। পরে গত মঙ্গলবার ভুলভাল বুঝিয়ে জুইকে আমার বাড়ি থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এতে আমার ছেলেকে জেল হাজতে প্রেরণ ছেলের বউয়ের নবজাতকের মৃত্যু সইতে না পেরে আমার স্ত্রী হনুফা বেগম গতবৃহস্পতিবার সকালে কীটনাশক পান করে আত্মহননের চেষ্টা চালায়। পরে বাড়ির লোকজন অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। আমি অবিলম্বে ঘাতক কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেনের ফাঁসি ও আমার ছেলের মুক্তি চাচ্ছি। এছাড়াও এলাকার পক্ষ থেকে মানববন্ধনে সৈয়দ আলামিন মীরা,মনির মুন্সি, আকলিমা বেগম, তাসলিমা ও নাজমা বেগম তাদের বক্তব্যে অভিযুক্ত জাকির হোসেনের ফাঁসির দাবি করেন পাশাপাশি জাকারিয়ার মুক্তি চান।
এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২২:১১:১৪ ●
৮৯ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)